নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর কলতাপাড়া(সামপুর)গ্রামের আব্দুল মালেক এর সন্ত্রাসী ছেলে আমিনুল ইসলাম ৩৫, আপন ভাইকে নির্মমভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৪ জুলাই মঙ্গল বার দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে মোঃ মাসুদকে লোহার রড দিয়া এলোপাথারি আঘাত করলে মাসুদ মাটিতে লুটিয়ে পরে। মাসুদের আত্ম চিৎকার শুনে এলাকাবাসীরা ছুঁটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর যখম দেখে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সোনারগাঁও থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । পরে তার আত্নিয় স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া যায়!উক্ত ঘটনার বিষয় এলাকাবাসীরা তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ছোট ভাই হয়ে বড় ভাইয়ের উপর এমন আঘাত করাকে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মামলা হামলার ভয় দেখায়, এ বিষয় আহত মোঃ মাসুদ এর স্ত্রী বলেন আমরা এই বাড়িতে আসার পর হতেই আমাদের উপর প্রায় সময় অন্যায় অত্যাচার করে আসতেছে এলাকাবাসীরাও তাঁকে খুব ভয় পায়, আজ আমার শশুর কাঠাল পারতে আসলে আমার স্বামী বলেন কাঠাল সমান ভাবে ভাগ করে দিবেন এই কথা বলার সাথে সাথে আমার শশুর আব্দুল মালেক বিষয়টি তাঁর সন্ত্রাসী ছেলে আমিনুলকে বললে আমিনুল লোহার রড নিয়ে আইসা বাড়ির সামনে ইটের রাস্তার উপর আমার স্বামীকে একা পেয়ে নির্মমভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতালি ভাবে আঘাত করলে আমার স্বামি মাটিতে লুটে পরে আত্ন চিৎকার করলে লোক জন এগিয়ে আসলে আমিনুল সহ তার সাথে থাকা লোক জন চলে যায়!
আমার স্বামীকে বিনা কারণে মার ধর করায় আমি তামান্না আক্তার গতকাল বুধবার নিজে বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি! উক্ত বিষয় আহত মাসুদ বলেন গত মঙ্গঁলবার সকালে আমার পিতা কাঠাল কাটার জন্য আসে আমি কোন প্রকার বাধাঁ দেইনি শুধু বলছি সমান ভাবে ভাগ করে দিবেন এই কথা বলার পর আমার পিতা চলে যায় ।কিছুক্ষন পর আমার ছোট ভাই আমিনুলকে পাঠায় এবাং আমার উপরে হত্যার উদ্যেশে লোহার রড দিয়ে এল পথারি হামলা করে আমার হাত পা ভেঙ্গেঁ পঙ্গু করে ফেলেছে । আমি সকল প্রকার প্রশাসনের কাছে একটি মাত্রই দাবি আমি ন্যায় বিচার চাই! এদিকে উভয়ের পিতা আব্দুল মালেক বলে ছেলেরা ছেলেরা মারা মারি করছে এখন আমার করার কিছুই নেই! উক্ত হামলার বিষয় হামলাকারী আমিনুল বলেন আমি ইতি পূর্বে আদালতে মামলা করেছিলাম ঐ বাড়িতে কোন প্রকার ওয়াল দিতে পারবেনা তাঁর পরও ওয়াল দিয়াছিল আদালতের নির্দেশে প্রশাসন ওয়াল ভেংগেঁ দেয় ।এর পর টিন দিয়া ভেড়া দেয় তাই আমি ঐ ভেড়া ভেংগেঁ দিতে গেলে আমাকে মারতে আসলে আমি আগাত করি, এবং সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযো দায়ের করি! এ বিষয়টি আমাদের পারিবারিক আপনারা সাংবাদিকরা কোন প্রকার প্রচার করবেন না!
আগামী ১০ তারিখ আমার করা আদালতে মামলার শুনানী যেটা আদালত রায় দিবে সেটাই মেনে নিব! আপনারা কেনো আমাদের পারিবারিক বিষয় আসেন? আমি বলছি কোন প্রকার প্রচার করলে আপনাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিব।
এদিকে সোনারগাঁও থানার ওসি বলেন অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা প্রমাণ পেয়ে আমিনুল ইসলামকে গতকাল বুধবার বেলা আনুমানিক ২ টা ৩০ মিঃ এর সময় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়!
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..