খুলনার পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু পাইকগাছা থানার সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু চত্বরের জায়গা দখলে নিচ্ছেন এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওসি ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। বঙ্গবন্ধু চত্বরের ভলিবল খেলার জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে খবরটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরাফাত হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, থানার ওসি মোঃ জিয়াউর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপস্থিত হন। বঙ্গবন্ধু চত্বরের ভলিবল খেলার জায়গা কেন দখল করা হচ্ছে জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু বলেন, এ জমি আমি নিলাম সূত্রে ক্রয় করেছি। জমির সকল কাগজপত্র আমার আছে। তার কাছে জানতে চাওয়া হলো, সরকারি ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় ৪লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে মাটি ভরাট করে বঙ্গবন্ধু চত্বর তৈরী করা হয়। সে সময় কেনো আপনি বাঁধা দেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন প্রয়োজন মনে করিনি, এখন পাশের ব্যক্তি জমি দখলে নিয়েছে তাই প্রয়োজন মনে করে আমিও জমি দখলে নিচ্ছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম সবকিছু শুনাবোঝা করে তাহার দাবীকৃত জমির কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরাফাত হোসেনের কাছে কাগজপত্র জমা দেন। জমির কাগজপত্র যাচাই বাছাই না হওয়া পর্যন্ত ১ সপ্তাহের জন্য উক্ত জমিতে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তাহাকে বলা হয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধ শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু থানা পুলিশ ও এলাকার ভলিবল খেলোয়াড়দের কথা বিবেচনা করে জমির কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে সকলে সাধুবাদ জানালেও নদীর সীমানা ও জমির সঠিক মালিকানা বের করার জন্য কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন। তাৎক্ষনিক কাজ বন্ধ করায় ভলিবল খেলোয়াড় ও এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।