ডিজিটাল ভূমি সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে কাজ করছে আমিনবাজার ভূমি অফিস জানালেন আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাছুমা আক্তার। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে আমিনবাজার ভূমি কার্যালয়ের সামনে গণশুনানিকালে গণমাধ্যমকে একথা জানান তিনি।
এসি ল্যান্ড মাছুমা আক্তার জানান, আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চেষ্টা করেছি ভূমি সংক্রান্ত কাজে এসে যাতে জনগণ দুর্ভোগ এবং বিড়ম্বনায় না পড়েন। এজন্য নিজের ডেস্কে বসে কাজ করে ভূমি সেবা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইনের দ্বারা অপেক্ষার মাত্রা আরও না বাড়িয়ে চেষ্টা করেছি এখানে আগতদের কাছে গিয়ে তাদের সেবা পূরণের। এছাড়া ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা রয়েছে যাতে ভূমি সেবা গ্রহনকারীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। একারণেই আমাদের কার্যালয়ের প্রবেশমুখেই এই গণশুনানির মাধ্যমে আগতদের সমস্যার সমাধান করছি।
এসি ল্যান্ড মাছুমা আক্তার বলেন, ভূমি সেবা সহজীকরণের জন্য যে ডিজিটাল ভূমি সেবা আমরা দিচ্ছি এবং বাংলাদেশ সরকারের যে চেষ্টা সেটারই অংশ হিসাবে সেবা প্রত্যাশীদের দ্বারপ্রান্তে আমরা এই সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। জমিজমা নিয়ে সবসময়ই মানুষের ঝামেলা থাকে, অনেক সময় তারা অভিযোগ করেন যে তারা এসি ল্যান্ডকে পায় না। তাই মাধ্যম ব্যতিরেখে তারা যেন তাদের সমস্যা সরাসরি এসি ল্যান্ডকে জানাতে পারে এজন্যই এই গণশুনানি।
এপ্রসঙ্গে আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলের এসি ল্যান্ড আরও বলেন, আগে একটি নামজারী খারিজ নিষ্পত্তি হতে সময় লাগতো ৪৫ দিন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবসে ই-নামজারির মাধ্যমে নামজারী মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে। আমার কার্যালয়ের স্টাফদের যথাসময়ে নামজারী পর্চা ও ডিসিআর প্রদান করতে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে এই কার্যালয়ে ভোগান্তিবিহীন ভূমি সেবা প্রদানের পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত রাজস্ব আদায় দ্রুততর হচ্ছে।
এসময় গণমাধ্যমের কাছে তিনি আহবান জানান, ভূমি সেবা প্রত্যাশীরা যেন ওইসব সুবিধাভোগীদের কাছে না গিয়ে সরাসরি আমার কাছে তাদের সমস্যা তুলে ধরেন।