আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাদের দোসরা সক্রিয় আছে
মঙ্গলবার ১ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের মৌলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা- কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন,আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাদের দোসরা সক্রিয় আছে। আওয়াধী ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে গঠন করা কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ভেঙ্গে দিয়ে গত ০৩/০৬/২০২৫প্তি, তারিখ ৪৭,৬১,২৬০০,০০০,৩৩.৪২/৭৭-১২৭৩ নং স্মারকমূলে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক সচিবালয় বহসুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর দায়িত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি করা হয়। যথারীতি কমিটির সম্পাদক জনাব মোঃ মুজিবর রহমান বর্তমান কাজটির সৈন্পাদক জনাব মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে বিগত ২৩/০৬/২০২৫খ্রিঃ অরিমী দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। দায়িত্বে বুঝে নিয়ে ৩ দিন বর্তমান কমিটি কেন্টিন পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন,বিগত ২৪/০৬/২০২৫খ্রি. তারিখ সন্ধ্যার সময় যথারীতি বাজার খালে কেন্টিনে মালামাল রেখে আমরা কয়েকজন সদস্য কেন্টিনের দরজার সামনে বসে ছিলাম। এমন সময় ওএমএসের চাল ও আটা নিয়ে আসে। কমিটির লোকজন সেখানে বসে ট্রাক হতে মালামাল নামানোর প্রস্তুতি নিলে আওয়ামী জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত কমিটির সভাপতি অর্থ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ মইনুল ইসলাম ও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম এর আহবানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জনার মোঃ বদিউল করীর এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হঠাৎ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল ইসলাম রবি, বস্ত্র ও পাট মুদ্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মিলন মোল্লা ও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অফিস সহায়ক মো: আবুল হাসনাত সোহেল ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর জনাব মো: জাকির হোসেন এর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। তাদের লোহার রড ও চাপাতির আঘাতে মো: নূরুল ইসলামের মাথা ফেটে যায় ও তারা চেইন, দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও বাশের লাঠির দিয়ে মো: নুরুল ইসলামের উপর হায়নার মতো ঝাঁপিয়ে পরে। তাদের আঘাতে মো: নূরুল ইসলামের মাথা, চোখ, হাত ও পা ফাটে এবং দাঁত ভেঙে যায়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে উঠে। বর্তমানে মো: নূরুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন। অন্যান্যদের মধ্যে ওবায়দুল ইসলাম রবি মারাত্মক আঘাতের ফলে জখমপ্রাপ্ত হয়। প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয়ের মত জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসরদের এমন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
তিনি আরো বলেন,সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সন্ত্রাসীরা হলো (১) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ মহিবুল আলম সরদার (২) মোহাম্মদ আলী (ফরাস), কেয়ার টেকিং প্রতিষ্ঠান (৩) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রশানিক কর্মকর্তা আহসান হাবিব সিয়াম (৪) পিআইডির ক্রয় কর্মকর্তা শাহ আলম সরকার (৫) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম(৬) স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওসমান গণি (৭) বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাশ সরকার মোঃ তোয়াহা, (৮) পিআইডির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো: বেলাল হোসেন, (৯) পিআইডির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নূরে আলম, (১০) তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো: মিজানুর রহমান (সুমন), (১১) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অফিস সহায়ক মো: মিজানুর রহমান (শিবলু), (১২) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অফিস সহায়ক মো: সাহাব উদ্দিন, (১৩) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অফিস সহায়ক মো: বিপুল মোল্লা, (১৪) কেয়ারটেকিং প্রতিষ্ঠানের আউট সোর্সিং রহমত উল্লাহ বাবু, (১৫) সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো: সোহেল, (১৬) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো: নজরুল ইসলাম, (১৭) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো: আরিফ হোসেন, (১৮) কেয়ারটেকিং প্রতিষ্ঠানের ফরাস সাহের আলী, (১৯) কেয়ারটেকিং প্রতিষ্ঠানের ফরাস মোঃ ইউসুফ, (২০) কেয়ারটেকিং প্রতিষ্ঠানের প্রাউটু-সোর্সিং মো: ইসমাইল, (২১) বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ আরিফ হোসেন, (২২) স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহীন গোলাম রব্বানী, (২৩) ত্রাণ ও দুযোগ মন্ত্রালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিচ্যার মুদ্রাক্ষরিক মনোয়ার হোসেন, (২৪) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো: আশরাফুল ইসলাম, (১৫) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো: আব্দুল কুদ্দুস (২৬) তথ্য মন্ত্রণালয়ের স্মৃতিগত কর্মকর্তা মুহল আমীনও (২৭) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক নাসিমুল আলম ছাড়াও অভাতে প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল। তারা এখনো, বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।শুরুরী ভিত্তিতে মামলা আমলে নিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।