শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার

প্রাক্তন স্বামীর চক্রান্তে,প্রাক্তন স্ত্রীর নামে চেকের স্বাক্ষর জাল করে মামলা, প্রতারণার অভিযোগ।

বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

প্রাক্তন স্বামীর চক্রান্তে,প্রাক্তন স্ত্রীর নামে চেকের স্বাক্ষর জাল করে মামলা, প্রতারণার অভিযোগ।

প্রাক্তন স্বামীর চক্রান্তে তার আত্মীয়স্বজন দিয়ে ডিভোর্স স্ত্রীর সাথে কোন টাকা লেনদেন না থাকলেও প্রাক্তন স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্ট করে চেকের স্বাক্ষর জাল করে ,মিথ্যা চেকের মামলা করে হয়রানির অভিযোগ করে ভুক্তভোগী মোছাঃ রিজিয়া পারভীন মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন

শুক্রবার ২৭ জুন ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী মোছাঃ রিজিয়া পারভীন মানববন্ধন করে এই অভিযোগ করেন ।

ভুক্তভোগী বলেন, আমি মোছাঃ রিজিয়া পারভীন, গ্রাম: চরনারানদিয়া, ডাকঘর: চর নারানদিয়া, থানা: আলফাডাঙ্গা, জেলা: ফরিদপুর। মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে, আমার প্রাক্তন স্বামী মোঃ এনায়েত, পিতা: মৃত সোহরাব শেখ, গ্রাম-ওসমান মীরের ডাঙ্গি, ডাকঘর- চর মাধবদিয়া, থানা-কোতায়ালী, জেলা-ফরিদপুর আমার থেকে ৩২ বছরের বড় ৫৫ বছর বয়সের ছেলের সাথে বিবাহ দেন। আমার বাবা জানতো না সে আদম ব্যবসায়ী ও তার বয়স এত বেশি। সে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তাদের টাকা আত্মসাৎ করে এবং কাউকে বিদেশ নেয় নি। এজন্য তারা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে সেসব মামলা কয়েকবার তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়। তারপর থেকে সে লুকিয়ে থাকে। আমার বাবার কাছ থেকে যৌতুক নেওয়ার জন্য আমাকে অত্যাচার করতে থাকে। আমার বাবাকে টাকার কথা বললে টাকা না দিতে চাইলে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সে বিদেশ থাকাকালীন মদ ও বাজে জিনিসে আসক্ত ছিল। দেশে এসেও এগুলো খেত ও আমার উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাতো। তার বয়স বেশি হওয়ার কারণে সে শারীরিকভাবে অক্ষম ছিল। সে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা এনে সে টাকাগুলো নেশায় উড়িয়ে দিত। আমি তার নামে মামলা ও তালাকের কথা বললে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমি তাকে তালাক দেই, তালাকের তারিখ-২০১৯। তারপর সে ২০২১ সালে ও ২০২২ সালে মামলা দেয়। তারপর আমার মা বাবা দেখেশুনে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়। এই কারণে সে আমার ক্ষতি করার কৌশল খুঁজে। আমি তার স্ত্রী থাকাকালীন সময়ে আমাকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করিয়ে চেক বই তার কাছে রেখে দেয় এবং কৌশলে চেকের সই নকল মামলা দেয়। আমার নতুন সংসার ভাঙার জন্য পূর্বের একাউন্ট নং-৮৪০৯৬১৩৪ এর চেক বই এ ৭,৭৫,০০০/- ও ১৮,০০,০০০/- টাকা বসিয়ে তা দিয়ে তার পরিচিত লোক জনাব তারা ফকির, পিতা-মৃত সাদেক ফকির ওরফে মাজেদ ফকির, সাং-লক্ষণদিয়া, পো: খলিলপুর, থানা-রাজবাড়ী সদর, জেলা-রাজবাড়ী ও শেখ জাহিদ, পিতা-শেখ বারেক, সাং-আছিরউদ্দিন মুন্সী ডাঙ্গী, পো: বাকীগঞ্জ, থানা-কোতায়ালী, জেলা-ফরিদপুর দুজনকে দিয়ে চেক ডিজওনার করিয়ে আমার নামে মামলা দেয়। ৭,৭৫,০০০/- টাকার মামলা নং-৬৭০/২২ এবং ১৮,০০,০০০/-টাকার মামলা নং-৯০৯/২২, জেলা যুগ্ম জজ আদালত-৩, ফরিদপুর।
আমার কাছে ঐ চেক বইয়ের ব্যাংক স্টেটমেন্ট আছে। তাতে এ পর্যন্ত কোন টাকা লেনদেন হয় নাই। আরো একাধিক চেকের পাতায় ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে মামলা দেয়। আমি প্রতারক ও আদম ব্যবসায়ীর শাস্তি দাবী করছি। আমার চেক বইতে জাল স্বাক্ষর দিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। আমাকে হয়রানি করানোর জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী মোছাঃ রিজিয়া পারভীন ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..