চকরিয়ায় চেয়ারম্যান কতৃক রাস্তা তৈরির অজুহাতে প্রতিপক্ষের বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর ও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম।
উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড রোসাইংগা পাড়া গ্রামের শামসুল আলমের পুত্র সহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবে
সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করায় বর্তমান চেয়ারম্যান মিরাজ আমার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন। তারই সুত্র ধরে ১৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে চলাচল সড়ক সম্প্রসারণের কথা বলে আমার বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর করে এবং গাছ কেটে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি সাধন করে। উক্ত ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান শহিদুল ইসলাম।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক কারণে তিনি চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানরত অবস্থায় তার গ্রামের বাড়িতে রাস্তা করার নামে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজের নেতৃত্বে ভুক্তভোগীর বাড়িস্থ বাউন্ডারি পাকা দেওয়াল ভেঙে গাছপালা কেটে ফেলে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম শহর থেকে রওয়ানা দিয়ে সরকারি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন। ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অল্প কিছু সময়ের জন্য কাজ বন্ধ রেখে পুনরায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উক্ত ঘটনায় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম।
এবিষয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, হারবাং রোসাইংগা পাড়া সড়ক প্রসস্থ করার জন্য স্থানীয়দের নিয়ে ইতোপূর্বে ৫ বার বৈঠক করা হয়েছে। একটি বৈঠকেও শহীদ উপস্থিত হননি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সড়কটি নির্মাণ কাজ সঠিক ভাবে করা গেলও শহীদের বাড়ির সামনে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। পরে স্থানীয় মেম্বার, চৌকিদার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সড়কের নামে খতিয়ান ভুক্ত জমি জবরদখল মুক্ত করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে গাছপালা কাঁটার বিষয়টি সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, হারবাংয়ে বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুরের বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।