মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
যুবককে কুপিয়ে জখম,ভয়ে এলাকা ছাড়া পরিবার লোহাগড়ায় ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সকল আসামি খালাস পাওয়ায়  মিষ্টি বিতরণ সা’দত কলেজে সাহিত্য সপ্তাহে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠিত ভারতের মিডিয়া ব্যাপক অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আহত, হাসপাতালে ভর্তি শরণখোলায় জামায়তের শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত। লোহাগড়ায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে ও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত  মাদারগঞ্জে নাশকতা মামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারিসহ আটক ৫ 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত শিক্ষকদের, ৩ দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

এস,এম,রকিবুল হাসান ঢাকাঃ
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি না করলে আমরণ অনশন ও সচিবালয় ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন।
শনিবার বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মোড়ল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন-সংগ্রামের পরও আমাদের দাবিটি উপেক্ষিত মাত্র ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষক এমপিওভুক্তির সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া না হলে সচিবালয় ঘেরাও করে আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মোড়ল আরো বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত
সারাদেশের ৫,৫০০ জন অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক জনবলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধার (এমপিও) বাইরে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয় নি। করোনাকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত নামমাত্র বেতনটুকুও বন্ধ থাকায় শিক্ষকগণ জীবন- জীবিকার কঠিন সমীকরণে আটকে গেছে। একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ ক্যাডার/নন -ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রী ৩য় শিক্ষকগণ জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কামিল(মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকগণও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণও এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না,যা চরম বৈষম্য এবং

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরেও অদ্যাবধি আমরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। সর্বজনস্বীকৃত সত্য যে, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরের অনেক বৈষম্য কমেছে কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত সারাদেশের মাত্র ৫,৫০০ জন শিক্ষক এখনো এমপিওভুক্তির বাইরে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের একাধিক নির্দেশনা, শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত নবম ও দশম সংসদের স্হায়ী কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর অধ্যায়-০৮ -এ বর্ণিত উচ্চশিক্ষার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এই সকল শিক্ষকের এমপিওভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ছিলো। বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ৫,৫০০
জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে ১২ কোটি বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয়বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়, জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।এমতাবস্থায় আমরা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা,বিশ্ব মানবতার মা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষাবান্ধব সরকারের সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তি চাই,বেঁচে থাকার সুযোগ চাই।
এছাড়া অনার্স ভর্তির ক্ষেত্রে পূর্বের জিপিএ বহাল এবং সরকারি বেসরকারি কলেজে আসন বৈষম্য দূর করে সমন্বয়ের দাবী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারী কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি নাজমুল হুদা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম আরা সুলতানা সুমী, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আজিম উদ্দীন সরদার, মোসলে উদ্দীন রিফাত, মোঃ হামিদুর রহমান, মাসুদ করিম, মোকলেসুর রাহমান মনি, ইবনে হাসান রনি, শেখ রাকিবুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, হুমায়ুন কবীর মোড়ল, নাজমুল ইসলাম, নাদিয়া কবীর, মহিউদ্দীন আহমেদ, খালেদা আকতার, শরিফুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, বিপুল কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, সঞ্জয় সাহা, আশরাফুল আলম, নাজনীন আকতার, রিপন চন্দ্র তালুকদার, কে এম বিপ্লব, খান মোহাম্মদ সায়ের সহ ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দুইশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..