চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘূণিয়া ৪নং ওয়ার্ডের মৃত কবির আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত পেশাদার ছিনতাইকারী। এখন কিশোর গ্যাংয়ের লিডার। আরাফাতের কিশোর গ্যাংয়ে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে। তার গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদক, চুরি, ছিনতাই, মারামারি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। আরাফাতের অপকর্মে দিশেহারা ফাঁসিয়াখালীসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলাও রয়েছে। চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে আরাফাতের অপরাধ সাম্রাজ্য। চকরিয়া পৌরশহরের শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল থেকে জনতা মার্কেট পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত
আশপাশের এলাকায় অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি আরাফাত কয়েক বছর বছর ধরে এই পৌরশহরে শতাধিক ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ই অক্টোবর রাত পৌনে আটটার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ডের জনতা মার্কেট পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় কিশোরগ্যাং লিডার আরাফাতের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি কিশোরগ্যাং চক্র কুষ্টিয়ার দৌলতপুর তারাবনিয়া এলাকার মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ীকে হানিফ পরিবহনের টিকেট কাউন্টার থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে আক্রমণ করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক জনমনে আতংক সৃষ্টি করে ঝাপটা মেরে তার বাম হাতে থাকা ১টি ওয়ালটন এনড্রয়েট মোবাইল সেট, নগদ টাকা এবং তার বাম কাধে থাকা চামড়ার ব্যাগ নিয়ে নেয়। পরে সৌরচিৎকার করলে আরফাতের নেতৃত্বে থাকা অপরাপর কিশোরগ্যাং চক্রের সদস্যরা তাকে আরো মারধর করে এবং জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত নাম্বারের গাড়ীতে উঠানোর চেষ্টাকালে ষ্টেশনের লোকজন এগিয়ে আসলে কিশোরগ্যাং লিডার আরাফাতসহ অপরাপর ৩জন পালিয়ে গেলেও নিশাদুল ইসলাম নিশাত নামের এক কিশোরগ্যাং সদস্যকে আটক করে থানা সোপর্দ করে। পরে মোঃ মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় অন্যান্য কিশোর গ্যাং সদস্যরা হলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শামসুল হকের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত রানা, মোঃ আইয়ুব।
উল্লেখ্য: এ ঘটনার পর সাংবাদিকরা মনিরুজ্জামানকে অপহরণ চেষ্টাকালে ধারণকৃত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করলে কিশোরগ্যাং চক্রের লিডার আরাফাত সাংবাদিকদের নামে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে একটি স্ট্যাটাস দেয় এবং সাংবাদিককে মারধর করা হুমকি দেয়। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।