গোলাপগঞ্জে ১৯ বছরের এক কিশোরকে গলায় ফাস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর ধারাবহর এলাকার মৃত সোবহান উদ্দিন বাহারের পুত্র রাহিদ হোসেন (১৯)। সে পেশায় একজন ইলেক্টিকমিস্ত্রী। পরিবারের ভাই বোনদের মধ্যে রাহিদ ৫ম। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবী পুর্ব শত্রুতার জের ধরে রাহিদ হোসেনকে গলায় ফাস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সীমানায় থমথমে ভাব বিরাজ করে।
নিহত রাহিদ হোসেন বড় ভাই আমির হোসেন জানান, কিছুদিন ধরে এলাকায় প্রতিপক্ষের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধী পক্ষ বিভিন্ন ভাবে তাদের ক্ষতি সাধনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এসময় তিনি স্থানীয় এক ইউপি সদস্যদের নাম উল্লেখ করে বলেন, মেম্বারের হস্তক্ষেপে রাহিদ আহমদকে হত্যা করা হয়েছে।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ীর পার্শ্বে একটি রেন্টি গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখা যাচ্ছে, প্রতিবেশীদের এমন খবরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহিদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তাৎক্ষনিক প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ইসিজি করানোর জন্য দ্রুত গোলাপগঞ্জ সোমা এক্স-রে ডায়গনষ্টিক সেন্টারে পাঠানো হলে পরীক্ষা শেষে পুরনায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রাহিদের নিথর দেহ নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহত রাহিদের ভাইদের দাবী, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তারা আইনী ভাবে ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করবেন।
খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ছুটে যান গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) পরিত্রান তালুকদার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যান।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।