নোয়াখালী মাইজদীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় চক্রের দুই নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার পুলিশ। এ সময় তাদের নিকট থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মাইজদী হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের সানজিদা আক্তার জেরিন (২০) ও চাটখিল পৌরসভার দশঘরিয়া হাজী বাড়ির সুবর্ণা মাহাবুব (৩৫)।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, মাইজদী শহরে দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হতো।
পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কিংবা পারিবারের সদস্যদের নিকট পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত টাকা দাবি করতে থাকে চক্রের সদস্যরা।
সর্বশেষ একজন ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করলে সুধারাম থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে সত্যতা পেলে অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পর্ণোগ্রাফী আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে।
মামলার ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত দুই নারী প্রতারককে মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্নজনের অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিগত ৫ থেকে ৬ বছর তারা কয়েকজন মিলে মানুষের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায় করে আসছিল।