মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নড়াইলে গ্রাম পুলিশকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা ভোলা জেলার মাদরাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ ফিরোজ আলম টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহৃত ৩ বন্ধুর মরদেহ পাহাড় থেকে উদ্ধার বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কেশবপুর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন ঝিনাইদহে যুবককে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৬ আসামী কে যাবজ্জীবন কারাদন্ডঃ  লোহাগাড়া দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আওয়ামী নেতা রোমেল! শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আনোয়ারায় বিক্ষোভ সমাবেশ। নড়াইল- ২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার সাথে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শফিকুর রহমানের সৌজন্য সাক্ষাৎ। হরিণাকুণ্ডুতে হেলমেট বিহীন বাইক চালকের  জরিমানাঃ মাদক,সন্ত্রাস ও ইভটিজিং মুক্ত করতে চাই খোকসা থানার নতুন ওসি

মানবতাবিরোধী অপরাধ:খুলনার রাজাকার আমজাদ সহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনা বৈঠাঘাটার রাজাকার আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন। এরআগে ২২ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অপর পাঁচ আসামি হলেন সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। প্রথমে এ মামলার আসামি ছিলেন আটজন। গ্রেপ্তারের পর দুই আসামি মোজাহার আলী শেখ ও আশরাফ শেখ অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।

আসামিদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সময় হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের এক হাজার ২৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত চারটি অপরাধেই অভিযুক্ত হন আমজাদ হোসেন হাওলাদার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আমজাদসহ অন্য ছয় আসামি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কনভেনশন মুসলিম লীগ ও পরে জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।

চার অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করে।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর এই আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..