বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
মাদারগঞ্জে বাজার মনিটরিং অভিযানে ব্যবসায়ীকে জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুর্নী‌তির দায়ে নগদ অর্থসহ ৩ জনকে আটক করেছে সেনাবা‌হিনী নড়াইলে অতিরিক্ত মদ্যপানে স্কুল ছাত্রীর মৃ’ত্যু হাসপাতালে ভর্তি ১ দুই জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যুর সনদ পত্র দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ভালুকায় পৌর বিএনপির দোয়া মাহফিল বাগেরহাট জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “জাতীয় শিশু কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক যুবলীগ নেতা সাইফুল সোহাগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নরসিংদী সাবেক এমপি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা গ্রেপ্তার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দুর্নীতিকে আমরা সহ্য করব না।

সংগ্রাম প্রতিদিন ডেস্কঃ
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে জানিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার রাজধানীর এনইসি মিলনায়তনে সচিব সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই একটি দক্ষ জনসেবামুখী জনপ্রশাসন গড়ে উঠবে, যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। বাংলাদেশে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেহেতু আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি, অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে এ জন্য, কোনো রকম দুর্নীতিকে আমরা সহ্য করব না।

দুর্নীতি আসলে একটা ব্যাধির মতো। এই ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। আপনাদেরও কঠোর একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানেই আপনারা এমন দুর্নীতি দেখবেন, সেখানেই কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ সময় দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যারা ভালো কাজ করবে অবশ্যই তারা পুরস্কৃত হবে। কিন্তু যারা এ ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে উন্নয়নটা হবে সুষম উন্নয়ন। একেবারে গ্রামে যারা পড়ে আছে, তারা গ্রামে থেকেই সব নাগরিক সুবিধা পাবে। জীবন ও জীবিকার সুবিধা পাবে। সব দিক থেকে তারা যেন ভালো একটা জীবন পায়।

সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সচিবদের ধন্যবাদও জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও যারা কাজ করছেন সবাইকে ধন্যবাদ এই জন্য যে, আমরা যেভাবে কাজ করতে চেয়েছি, প্রত্যেকের কাছ থেকে আমরা সব সময় সহযোগিতা পেয়েছি এবং আন্তরিকতা পেয়েছি। যেটা সবচেয়ে বেশি সেটা হচ্ছে দেশকে এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করার মানসিকতা।

সে মানসিকতাটা ছিল এবং সেটা আমরা পেয়েছি, যার ফলে আজকে কিন্তু আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। মাত্র ১২ বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

তিনি বলেন, যার যার মন্ত্রণালয়ে যেসব প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে, কারণ এই করোনার সময় আমরা বাজেটও দিয়েছি, উন্নয়ন প্রকল্পও নিয়েছি। সে প্রকল্পগুলো যেন যথাযথভাবে কার্যকর হয়, বাস্তবায়ন হয়, এ বিষয়গুলো সবাইকে দেখা দরকার।

আপনারা সেটাই দেখবেন বলে আমি আশা করি। এটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নটা গতিশীল রাখতে পারব। আমি এটাই চাই যে আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করবেন।

এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়েও কথা বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, এরই মধ্যে করোনার টিকা দেশে তৈরি করার জন্য বা বটলিং করার জন্য ব্যবস্থা আমরা করেছি। যত টিকা লাগে আমরা ক্রয় করব। ইতোমধ্যে সেগুলোর ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া দরকার। এবং সেটা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো না, আমাদের স্কুলগুলোও খুলতে হবে। আমি ধন্যবাদ জানাই, আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাজেই এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে তাদেরও যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। কাজেই সেদিকেও আমাদের নজর দেয়া দরকার।

তৃণমূলের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের একটি লোক যেন পিছিয়ে না থাকে। প্রত্যেক মানুষ যেন তার জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে। সেটা একদম গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে যারা বসবাস করে, তাদের লক্ষ্য করেই আমাদের সব কর্মসূচি।
উন্নয়নের সুফলটা যেন সবার ঘরে পৌঁছায়, স্বাধীনতার সুফলটা যাতে সবার ঘরে পৌঁছায়, সেভাবেই আমরা আমাদের কাজগুলো যেন সম্পন্ন করতে পারি, পরিকল্পনাগুলো যেন সেভাবেই নিই।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..