চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে তিব্বত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো বন্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ওয়াং জিয়াওজিয়ান। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স অতুল কেশাপ দালাই লামার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর বুধবার তিনি এ মন্তব্য করেন। এনডিটিভির খবরে জানা গেছে এসব তথ্য।
নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তিব্বত প্রশাসন (সিটিএ) বা প্রবাসী তিব্বত সরকারের প্রতিনিধি এনজিডুপ ডংচং-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে গত মঙ্গলবার কেশাপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তিব্বতের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা, নিজস্ব সংস্কৃতি আর ভাষাগত পরিচয় আদায়ের লড়াইকে সমর্থন করে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দালাই লামার ‘সবার জন্য সমান অধিকার’র ভাবনাকেও শ্রদ্ধা করে।
ধারাবাহিক টুইট বার্তায় চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র এই বৈঠকের সমালোচনা করে বলেন, তিব্বত ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে বিদেশি হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।
দুই সপ্তাহ আগে চীনের ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নয়াদিল্লিতে তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাই লামার এক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন। আফগানিস্তান পরিস্থিতি, আঞ্চলিক সর্ম্পক জোরালো ও করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বিস্তার নিয়ে আলোচনা করতে সেসময় ভারত সফর করেন ব্লিঙ্কেন।
১৯৫০ সালে তিব্বত দখল করে নেয় চীনের সৈন্যরা। এরপর থেকে ভারতে নির্বাসনে রয়েছেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে তিব্বতের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু চীন তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করে। সম্প্রতি চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে বেশ সরব যুক্তরাষ্ট্র।