সংসদ ভবনে দক্ষিণ প্লাজায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে পরিবেশ ও দপ্তরের শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের সম্মানিত অংশীদারিত্বমূলক
আজ ৩০ শে এপ্রিল রোজ বুধবার আর নয় শব্দ দূষণ চাই সুস্থ জীবন এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় পরিবেশ অধিদপ্তর শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্ব মূলক প্রকল্প এবং পরিবেশবাদী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রকল্পের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, পরিবেশবাদী ও উন্নয়ন কর্মী অংশগ্রহণ করেন
উদ্ভোদনী ভাষনে পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ সফিউল্লাহ বলেন শব্দ দূষণের ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে, বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি, শিশুদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানা ধরণের বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতা। শিক্ষার্থীদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটছে, যা পড়াশোনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি আরও জানান, শব্দের মাত্রা ৬৫ ডেসিবেলের নিচে নামিয়ে আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, শব্দ যে আমাদের শরীরের উপর কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে সেটা বিভিন্ন গবেষণা মুলক তথ্য দেখেলেই বোঝা যায়, তাই এই বিরূপ প্রভাব এর কথা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে, আমরা প্রমোশনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সেটা করতে পেরেছি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন “শুধু সচেতনতা নয়, শব্দ দূষণ রোধে প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনি কাঠামো থাকলেও এর বাস্তবায়ন দুর্বল। সরকারকে এই বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ বিষয়ে বিশেষ করে প্লাস্টিক দূষণ, নদী দূষ্ন এবং শব্দ দূষনের মতো বিষয়গুলোতে তিনি সোচ্চার রয়েছেন। এই দূষণগুলো কমিয়ে আনতে পারলে দেশবাসী উপকৃত হবেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২৭ টি পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সবশেষে প্রোগ্রামটি একটি র্যালির মাধ্যমে শেষ হয়,র্যালিটি সংসদ ভবনের সামনে প্রদক্ষিণ করেন।