দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মো: পান মামুন ও মোছাঃ অহেদা বেগম নামে জীবিত দুই ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যুর সনদ পত্র দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল কবির রাজু
এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৩ নং গোপালগঞ্জ ইউনিয়নের বড়জালালপুর ও একই ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামে। আজ সোমবার উপজেলা সমাজসেবা অফিসে বয়স্ক ও বিধাবা ভাতার টাকা আসেনি জানার জন্য গেলে তারা জানতে পারেন তারা মৃত।
ভুক্তোভোগী এক পুরুষ এক নারী ও সমাজসেবা সূত্রে জানা গেছে, ৩ নং গোপালগঞ্জ ইউনিয়নের বড়জালালপুর গ্রামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধ পান মামুন বছর ধরে বয়স্ক ভাতার কার্ডের মাধ্যমে ভাতা পেয়ে আসছেন। গেলো মাসের ভাতা না পেয়ে গতকাল সোমবার সকালে সমাজসেবা অফিসে ভাতা উত্তোলন করতে গিয়ে পান মামুন জানতে পারেন তাকে মৃত দেখিয়ে কোন এক ব্যক্তির নামে তার কার্ড প্রদান করিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ। একই ঘটনা ঘটে একই ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামে মোছাঃ অহেদা বেগমের।
পান মামুন বলেন, আমি জীবিত মানুষ। আমারে তারা কীভাবে মৃত বানাইলো বুঝতে পারছি না। আমাকে মৃত দেখিয়ে সমাজসেবা অফিসে মৃত্যুর সনদ পত্রও প্রদান করেছে ইউপি চেয়ারম্যান। একই কথা বলেন,উত্তর শ্যামপুর গ্রামে মোছা অহেদা বেগমের
ইউপি চেয়ারম্যান ক্যামেরার সামনে কথা না বলে সাংবাদিকের ক্যামেরার ল্যান্সে হাত দিয়ে দুরব্যহার করে বলেন, ভুল ক্রমে হয়েছে। পরবর্তীতে সংশোধন করে দেওয়া হবে। তবে তিনি নিজের ঘাড়ে দোষ না নিয়ে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে দোষী করেন।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..