চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান এবং মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার।
সোমবার সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান ও সেদ্ধ চালের পাশাপাশি ৩৯ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালও কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৩৭ টাকা, আতপ চাল ৩৬ টাকা এবং ধান প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে কেনার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারন কমিটি। মোট ১৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে গত বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে বোরো ধান সংগ্রহ আর ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়। পনেরো দিন সময় বাড়িয়ে দিয়ে মাত্র ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য কিনতে পেরেছিল সরকার। যা নির্ধারিত পরিমাণের অর্ধেকও কম। একই ঘটনা ঘটেছে আমন সংগ্রহের ক্ষেত্রেও।
গত বছর আমন মৌসুমে প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৩৭ টাকা, আতপ চাল ৩৬ টাকা কেজি এবং প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা দরে মোট সাড়ে আট লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রের টার্গেট নিয়ে গত ৭ নভেম্বর থেকে ধান এবং ১৫ নভেম্বর থেকে চাল কেনা শুরু করে। বেঁধে দেয়া সময় পর্যন্ত চালের আকারে মাত্র ৮৩ হাজার ২০২ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা গেছে।
ধান চাল সংগ্রহে গত বছরের মতো পরিস্থিতি এবার হবে না এমন আশা প্রকাশ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দিতেই এবার সিদ্ধ চালে কেজি প্রতি ৪ টাকা, আতপ চালে কেজি প্রতি ৩ টাকা এবং ধানের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
‘যে পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে কৃষকেরাও ন্যায্যমূল্য পাবে আবার ব্যবসায়ীদেরও লোকসান গুনতে হবে না’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
বাজারে চালের দাম ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, এবার সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাড়তি দামে খাদ্যশস্য কেনা হলেও এর প্রভাব বাজারে পড়বে না।
আগামী বুধবার থেকে ধান এবং ৭ মে থেকে চাল কেনা শুরু হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সাধান চন্দ্র মজুমদার।