নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতাধীন বাসা বাড়ি মিল কারখানা ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকগন বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এমনই অভিযোগ বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। এতে করে গ্রাহক যেমন ভুক্তভোগীর শিকার অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। জানা যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন ইউনিয়নের ললাটি এলাকায় এশিয়ান রোড সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীগণ চাকরি নিয়মিতকরণ করার জন্য পহেলা জুলাই থেকে ৭ই জুলাই পর্যন্ত কর্মবিরতি করে আসছেন। এমনকি অফিসের মিটার রিডারগনসহ অন্যান্য কর্মচারীগণ গ্রাহকের বিল প্রস্তুত না করে তাদের কাছে থাকা গ্রাহক সেবা বইসহ বিভিন্ন হিসেবের কাগজপত্র জি এম এর নিকট জমা দেন।
এতে করে ভোগান্তির চরমে এলাকার গ্রাহকরা। আন্দোলনকারীদের দাবি বর্তমানে তাদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি থেকে স্থায়ী করার।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ( প্রকৌঃ) হরেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন ২০১৩ সনের ৫৭নং আইনে রয়েছে পল্লী এলাকা ও কতিপয় অন্যান্য এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কৃষিবিপ্লব , কুটিরশিল্প, অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং গ্রামীণ অর্থনীতি তথা কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাস্থ্য ও অব কাঠামোগত উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ শক্তির কার্যকর ব্যবহার অব্যাহত রাখা জরুরী বলে মনে করি। তিনি আরো বলেন আমরা সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সঠিক দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে যারা চুক্তিভিত্তিক চাকরি করেন তারা দীর্ঘদিন যাবতেই আন্দোলন করে আসছেন তাদের চাকরি স্থায়ী করার জন্য। এ বিষয়টি একমাত্র রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সমাধান হতে পারে। এমনকি যারা আন্দোলন করে করছেন, যোগ্যতা অনুসারে ৩০% নিয়মিত চাকরি স্থায়ী করতে পারে সরকার এটা সরকারের মর্জি। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..