চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারসকে হারিয়ে নাজিম উদ্দীন মুহুরী,নির্বাচিত হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি উপজেলার সর্বমোট ১৪২ টি ভোটকেন্দ্রে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তারমধ্যে-নাজিম উদ্দীন মুহুরী(মোটরসাইকেল প্রতীক)৫৯ হাজার ১৬৫ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, বখতেয়ার সাঈদ ইরান(আনারসপ্রতীক)পেয়েছেন ৪১হাজার ৭৬৭ ভোট। ১৭৩৯৮ ভোট বেশী পেয়ে নাজিম উদ্দীন মুহুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।মো:জসিম উদ্দিন (ভাইস- চেয়ারম্যান) প্র্রার্থী (টিউবওয়েল) ৩২৮৮৬ ভোট এবং শারমিন আক্তার নুপুর (ফুটবল) ৫৪৮৫৮ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ফটিকছড়ি দুয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে। সম্পূর্ণ নির্বাচন জুড়ে প্রশাসনের নজরদারী দেখারমত,২৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাচন কমিশন ছিলেন শক্ত অবস্থানে।
২১মে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। সকালের দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে তেমন একটা ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। রাঙ্গাপানি চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,,ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল, কোম্পানি টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হারুয়ালছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,,মধ্যম হারুয়ালছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারুয়ালছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম ভূজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। ফাঁকা পাওয়া গেছে অনেক কেন্দ্র। মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারে নগন্য।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও দুপুরের পর বিভিন্ন কেন্দ্র একেবারেই ফাঁকা দেখা যায়। কর্মী সমর্থক ছাড়া সাধারণ ভোটারগণ ভোটদানের পর বেশীক্ষন অপেক্ষা করেনি।তবে বিকাল ৪:৩০ মিনিটের পর থেকে যখন ফলাফল আসতে শুরু করে, তারপর থেকে মানুষের ভিতরে বিজয়ের উল্লাস করার উত্তেজনা বাড়তে থাকে।নির্বাচিত প্রার্থীগনের মতামত -তারা বলেন যেই প্রতিশ্রুতি নির্বাচনে আমরা দিয়েছি মানুষের,সেই প্রতিশ্রুতি পুরনে আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করবো।