বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
মোহনগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন এনসিপি নেতা কচাকাটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রাস্তা মেরামত কাজ সম্পন্ন। বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে. নেত্রকোণায় সোহাগ হত্যা মামলার আসামি ২ ভাই গ্রেপ্তার জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, সিদ্ধান্তে একমত রাজনৈতিক দলগুলো বোরকা-হিজাব-মাস্ক পরে অপু বিশ্বাসের আত্মসমর্পণ। ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর শাপলা যদি প্রতীক না হতে পারে তাহলে ধানের শীষও পারবে না: সারজিস আলম সুনামগঞ্জ ১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল, পদ্মা সেতুর পাশে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্টে ভয়াবহ নদীভাঙন – জীবন ও জীবিকার সংকট

উখিয়াতে পিতা-পুত্রের সিন্ডিকেটে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা

উখিয়া প্রতিনিধি :
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত পুরাতন রো’হি’ঙ্গা মাহমুদুল হক ও তার ছেলে ছোটনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ মিয়ানমারের বিভিন্ন মাদককারবারি মাফিয়াদের সাথে। জানা যায়, প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ পিস ইয়াবা মিয়ানমার হয়ে বালুখালীর সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এই মাদক গুলো প্রতিদিন বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে দেশের আনাচেকানাচে চালান করছে বালুখালীর মাদক সম্রাট মাহমুদুল হক। সম্প্রতি গেল এক সপ্তাহ আগে মিয়ানমার হতে ৪০লক্ষ্য পিস ইয়াবা সীমান্ত হয়ে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। মাদকের এই বিশাল চালান নিয়ে তার নেতৃত্বে কাজ করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ।

সুত্রে জানা যায়, ১৩ জুলাই-২০২০ সালে কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক আজকের দেশ বিদেশ পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদ প্রকাশ হলে দীর্ঘ দিন এই রোহিঙ্গা মাহমুদুল্লাহ পলাতক ছিলেন। এক সুত্রে জানা গেছে, এই পুরাতন রোহিঙ্গা ইয়াবাডন মাহমুদুল হক (৫০) ও তার ছেলে ছোটন (২৭) (প্রকাশ বার্মাইয়া মাদুল্লা) বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সমস্ত ইয়াবা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এলাকাবাসীর দাবী এই পুরাতন রোহিঙ্গা মাহমুদুল হক ২০১৫ সালের দিকে দিন মজুরি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন সে মাদক ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছের মতো অবস্থা। তিনি ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলো তখন ও তার ছেলে ছোটনের নেতৃত্বে পরিচালনা হয়েছিলো মাদক ব্যবসা। সম্প্রতি ২০২২ সালে ছোটন কাস্টম’স টিভি টাওয়ারে চার জনকে তার ডাম্পার গাড়ির চাঁপা দিয়ে পিসে মেরে ছিলো। সে সময় যদিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তার জন্য একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও ভুক্তভোগী পরিবার এই অবৈধ ব্যবসায়িদের কাছে টাকার কাছে হার মানে এক পর্যায়ে টাকার জোরে এত বড় দুর্ঘটনা ধামাচাঁপায় পড়ে। এর পর থেকর সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সমস্ত ইয়াবা সিন্ডিকেট পরিচালনা করে। মূলত তারা পুরাতন রোহিঙ্গা হওয়ার সুযোগে ২০১৭ সালে আসা রোহিঙ্গা আত্মীয় স্বজনরা বাংলাদেশে আগমন ছিল তাদের জন্য মাদক ব্যবসা করার আরো সুযোগ হয়। তথ্য সুত্রে জানা গেছে, তারা কালো টাকার জোরে কৌশলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রও করেন। গেল ২বছর আগে তার শালা ছৈয়দ নুর ৪০হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে এখনো কারাগারে রয়েছে।এর পর থেকে তার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে পিতা-পুত্র দু’জনে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে জিআর-৫৯৯/১৯ইং ও জিআর- ৪৫৫/২৩ইং, জিআর- ৩৮৮/২১ই সহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে, অভিযুক্ত মোহাম্মদুল্লাহ জানান, আমরা এখন কোন ধরণের অবৈধ ব্যবসা করি না। তবে আমার শালা ছৈয়দ নুর নামের যে কারাগারে আছে তার বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য দেখা শোনা করি। আরেক অভিযুক্ত ছোটনের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভার হয়নি।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হোসাইন জানান, অবৈধ ব্যবসায়ী যত বড় হউক কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..