গোপালগঞ্জ জেলার উরফি ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামের বড়বাড়ি এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন অবৈধ বালু উত্তোলন ড্রেজার দিয়ে ফসলী জমি ভরাট করছে। জানা যায় তিনি বর্তমানে অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত আছেন গোপালগঞ্জ জেলা গনপূর্ত বিভাগে। সরকারী দপ্তরে চাকরী করে সরকারের আইন ভঙ্গ করছেন তিনি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন আইন শৃংখলা সভায় বার বার মাদক ও অবৈধ বালু উত্তোলন ড্রেজারের উপর জিরো টলারেন্স এর ঘোষনা দিলেও তার কোন কার্যকারী ভূমিকা সরেজমিনে দেখা মেলে নাই। গোপালগঞ্জে প্রশাসনের নজরের সামনেই চলছে পাঁচশতাধিক অবৈধ বালু উত্তলোনকারী ড্রেজার । প্রশাসনের হাত ধরেই এই সকল অবৈধ ড্রেজার চলছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সাধারন ড্রেজার ব্যবসায়ীরা সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করে বালু উত্তলোন করছে নির্ভয়ে। অন্য দিকে দেখা যায় গোপালগঞ্জ জেলার উরফি ইউনিয়নে বাংলাদেশ গনপূর্ত অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ এ কর্মরত অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন নিজেই সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করে ফসলি জমি ভারট করছে। জাহাঙ্গীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জায়গাতে আমি বালু ভরাট করছি এতে আপনাদের সমস্যা কোথায় আমি তো ড্রেজার ব্যবসা করি না। সে সাংবাদিকদের এটাই বোঝাতে চায় যে, সরকারী লোকজন সব কিছুই করতে পারে। সাধারন মানুষের একটাই কথা সরকারের আইন যদি সরকারী লোকজন ভঙ্গ করে তাহলে সাধারন মানুষের কি দায় পড়েছে সরকারের কাছে। গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দূর্গাপুর, কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ, ভাংগারহাট টুঙ্গিপাড়ার জোয়ারে পাথরঘাটা, কাশিয়ানীর পুইশুর ,হাতিয়ারা, ডোমড়াশুর ,সিংগে ,সাতপাড়, সোনাডাঙ্গা সহ মুকসুদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বুক ফুলিয়ে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রশাসনের চোখের সামনে। দ্রুত এই সকল অবৈধ বালু উত্তোলন ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।