ঝড়ের কবলে পড়ে বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদীতে মাছধরার নৌকা থেকে নিখোঁজ জেলে আবুল হোসেন আমীর (৫৪) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার ভাই মাওলানা আবু জাফর ও ছেলে মাহমুদুল হাসান মরদেহ শনাক্ত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাথরঘাটা থানা ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ সাইফুর রহমান।
৩ আগাস্ট রোজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টার দিকে স্থানীয় জেলেরা পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের গোলবুনিয়ায় এলাকার নদীর তীরে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় জেলেরা। পরে স্থানীয় সাবেক মেম্বর বাবুল খান পুলিশকে জানান।
আবুল হোসেন মুসল্লির বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর বাবার নাম জিন্নাত আলী মুসল্লি। তিনি রায়হানপুর ইউনিয়নের তাবলিগ জামায়াতের আমির।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম কামাল সংগ্রাম প্রতিদিন কে জানান, আবুল হোসেন বিষখালী নদীতে মাছ শিকার করে জীবন যাপন করতেন তাবলীগ জামায়াতের সাথে জড়িত ছিলেন এবং পাথরঘাটা উপজেলা রায়হানপুর ইউনিয়নের জিম্মাদার (আমীর) ছিলেন। তিনি প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মাছ ধরার জন্য পাথরঘাটা-বামনার মধ্যবর্তী বিষখালী নদী যান। সেখানে মোস্তফা মিয়ার ইটের ভাটার ঘাট থেকে
ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকা নিয়ে অন্যান্য জেলেদের সঙ্গে নদীতে মাছ শিকারের জন্য রওনা দেন। তবে কিছুক্ষণ পর আবুল হোসেনের পেতে রাখা জাল থেকে অনেক দূরে তাঁর নৌকাটি ভাসতে দেখা যায়। তখন অন্য জেলেরা সেখানে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় নৌকাটি পেলেও সেখানে আবুল হোসেনকে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় বুধবার নিখোঁজ জেলে আবুল হোসেনকে উদ্ধারের জন্য বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারাও দুদিন উদ্ধারের চেষ্টা করেছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে গোলবুনিয়া চরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুইটার দিকে হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ার নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে-উত্তাল নদীতে আবুল হোসেন ট্রলার থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিল।’
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ থাকলে সেভাবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..