চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড জনসমুদ্রে পরিণত।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় বিকেল ৩টায় ভাষণ দেন। তার আগেই লাখো মানুষের জনস্রোতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রামের রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠ।
সকাল ১০টা থেকেই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে দেখা গেছে। সকাল ১১টা থেকে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠের প্রবেশমুখ, টাইগার পাস মোড়, লালখান বাজার, দামপাড়া, জিইসি. দুই নম্বর গেইট, নিউ মার্কেট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা থেকেই মানুষের জনস্রোত লক্ষ্য করা গেছে।চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রং বেরংয়ের টি শার্ট পরে ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জনসভাস্থলের আশেপাশে এসে অবস্থান নিতে থাকেন নেতাকর্মীরা। নগরীর সিআরবি, পুরোনো রেলস্টেশন, টাইগারপাসে সমবেত হয়ে বড় বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা অব্যাহত রয়েছে। তাদের স্লোগোনে-স্লোগানে মুখর হচ্ছে জনসভাস্থল ও চট্টগ্রামের রাজপথ।তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে দুপুরের আগেই রীতিমত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে পলোগ্রাউন্ড মাঠ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ উন্নত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।তিনি চট্টগ্রামের ভাষায় বলেন, “অনারা ক্যান আছন, বেইয়াগগুন গম আছননি। পেটু পুরেদে, তাই চাইতো আসসি (চট্টগ্রামের মানুষ আপনারা কেমন আছেন। সবাই ভালো আছেন-তো, পেট পুরে তাই আপনাদের দেখতে এলাম)।তিনি বলেন, এই চট্টগ্রামের সাথে আমার অনেক স্মৃতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন সমাবেশ করতে পারিনি। তাই আপনাদের কাছে ছুটে আসলাম। এই স্মৃতিময় চট্টগ্রামে আমরা বারবার ছুটে আসতাম। আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন জেল থেকে মুক্তি পেতেন আমাদের চট্টগ্রামে বেড়াতে নিয়ে আসতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রামে আসলেই ছুটে যেতাম এম এ আজিজ চাচা, জহুর আহমেদ চাচার বাসায়। এখন তারা নেই। সব স্মৃতি মনে আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। সেজন্য জনগণ মেনে নেয়নি। তাই তাকে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয়। সেকথা বিএনপির মনে রাখা উচিত। ওরা ভোটে যেতে চায় অবৈধ উপায়ে।তিনি আরও বলেন, তারা জয় বাংলা স্লোগানও মুছে দিতে চেয়েছিলো। তবে আজকে আমরা তা ফিরিয়ে এনেছি। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ আজ জাতিসংঘে স্বীকৃতি লাভ করেছে। তারা এদেশের গণতন্ত্র হরণ করতে চেয়েছিলো। তারা বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস, চুরি, লুটপাট ও জনগণের অধিকার হরণ করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ উন্নত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে। দেশে একশত শিল্পনগর করা হচ্ছে। আমরা চট্টগ্রামে অনেক উন্নয়ন করেছি সামনে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী সকলকে কৃষি জমির সঠিক ব্যবহার করে জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যায়ী হওয়ারও আহ্বান জানান। সেই সাথে চট্টগ্রামবাসীর কাছে নৌকায় ভোট চান শেখ হাসিনা।