কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাশঁগ্রাম আলাউদ্দীন আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের ডান হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করার আলোচিত ঘটনায় ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (৪ জুন) কুষ্টিয়ার র্যাব কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডর ইলিয়াস খান জানান, কলেজ শিক্ষকের হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ মামলার আসামিদের ধরতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গত শুক্রবার (৩ জুন) রাতে র্যাব-১২ ও র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সম্মিলিত অভিযানে বিভিন্নস্থান থেকে ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই ওই শিক্ষকের গ্রাম কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন- মোশারফ হোসেন মশা (২৬), নাজিম উদ্দিন (২৭), সামাদ (২৭), মুহাইমেন হোসেন (২৭), হালিম (৪০), পলাশ (২৩) ও মুকুল (৪২)।
গ্রেপ্তারের সময় পলাশের কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব জানায়, বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালির বাশঁগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তোফাজ্জেল হোসেন (৫২) নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কুষ্টিয়া শহরে ফিরছিলেন। বেলা ২টার দিকে বংশীতলা এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে সেখানে থাকা কয়েকজন সন্ত্রাসী ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করে।
ঘটনার পরদিন তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে নাজমুছ সাকিব কুষ্টিয়া মডেল খানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। হাসপাতালে চিকিৎসায় তোফাজ্জেলের হাত জোড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি।