সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ লোহাগড়ায় প্রচন্ড গরমে ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা  লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে দালাল নিয়োগ দিয়ে  লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় লোহাগড়ায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন  বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকচাপায় নিহত ৩ পাইকগাছায় অভিনব কায়দায় গাঁজা বহনকালে মহিলা আটক- ১ নড়াইলের পানচাষী কার্তিকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক

লালমনিরহাট নদী পারাপারে ভাসমান সেতু তৈরী করে দিলেন স্কুল শিক্ষাক

মোস্তাফিজুর রহমান লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভাসমান সেতু তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রশংসায় ভাসছেন সালমারা ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম ও তার দুই বন্ধু।

উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সন্নিকটে অবস্থিত সালমারা সতি নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি এই উপজেলায় বৃহত্তম ভাসামান সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসি, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী এই ভাসমান সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে।

প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীমের স্বকীয় উদ্ভাবনী চিন্তা, শ্রম ও অর্থায়নে এবং এলাকাবাসির কষ্ট লাঘবে ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করে প্রায় অসম্ভব কাজটি সম্পন্ন করেছে।

ভাসমান সেতুটি নির্মাণে অর্থ যোগান দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের আরো দুই বন্ধু উপজেলার চন্দ্ররপুর ইউনিয়নের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার ২০ হাজার মানুষ এই ভাসমান সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করেন।

বর্ষা মৌসুমে মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধান শিক্ষকের এই মহতি কাজে এলাকাবাসি সন্তোষ্টি প্রকাশ করছেন।

এই সেতুটির অনন্য বিশেষত্ব হলো সেতুটি প্রায় ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ। সেতুটিতে ২০ পিচ প্লাস্টিক ড্রাম, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই ব্যবহার করা হয়েছে। এতে প্রায় লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ইব্রাহী লালমনিরহাট অনলাইন নিউজকে বলেন, এই স্থানে একটি পুরাতন সেতু ছিলো। সরকারীভাবে নতুন করে সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা। তাই পূর্বের সেতুটি ঠিকাদারের লোকজন সেটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছেন। তারপর থেকে তারা এখানে আর কাজের জন্য আসেন নাই। কিন্তু টানা বর্ষণে পানি বেশি হওয়া এলাকাবাসির দুর্ভোগ বেড়ে যায়। মানুষের কষ্ট লাঘবে মূলত আমিসহ আমার দুই বন্ধু মিলে এই ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..