বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু সুনামগঞ্জ ১ আসনের বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসভা করেন,আলহাজ্ব আনিসুল হক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, মাঠেই চলছে শিশুদের ক্লাস লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ, জেল-হাজতে প্রেরণ ১০২ জন এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার ইউকে বাংলা” প্রেস ক্লাবের ‘দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত মোহনগঞ্জে ব্যবসায়ীর গ্যাস সিলিন্ডার চুরি, গ্রেফতার-২ খোকসায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কালীগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে যৌথবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান

লালমনিরহাট নদী পারাপারে ভাসমান সেতু তৈরী করে দিলেন স্কুল শিক্ষাক

মোস্তাফিজুর রহমান লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভাসমান সেতু তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রশংসায় ভাসছেন সালমারা ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম ও তার দুই বন্ধু।

উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সন্নিকটে অবস্থিত সালমারা সতি নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি এই উপজেলায় বৃহত্তম ভাসামান সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসি, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী এই ভাসমান সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে।

প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীমের স্বকীয় উদ্ভাবনী চিন্তা, শ্রম ও অর্থায়নে এবং এলাকাবাসির কষ্ট লাঘবে ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করে প্রায় অসম্ভব কাজটি সম্পন্ন করেছে।

ভাসমান সেতুটি নির্মাণে অর্থ যোগান দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের আরো দুই বন্ধু উপজেলার চন্দ্ররপুর ইউনিয়নের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার ২০ হাজার মানুষ এই ভাসমান সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করেন।

বর্ষা মৌসুমে মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধান শিক্ষকের এই মহতি কাজে এলাকাবাসি সন্তোষ্টি প্রকাশ করছেন।

এই সেতুটির অনন্য বিশেষত্ব হলো সেতুটি প্রায় ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ। সেতুটিতে ২০ পিচ প্লাস্টিক ড্রাম, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই ব্যবহার করা হয়েছে। এতে প্রায় লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ইব্রাহী লালমনিরহাট অনলাইন নিউজকে বলেন, এই স্থানে একটি পুরাতন সেতু ছিলো। সরকারীভাবে নতুন করে সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা। তাই পূর্বের সেতুটি ঠিকাদারের লোকজন সেটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছেন। তারপর থেকে তারা এখানে আর কাজের জন্য আসেন নাই। কিন্তু টানা বর্ষণে পানি বেশি হওয়া এলাকাবাসির দুর্ভোগ বেড়ে যায়। মানুষের কষ্ট লাঘবে মূলত আমিসহ আমার দুই বন্ধু মিলে এই ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..