শূন্য হাতে কেঁদে কেঁদে এসেছি
সুন্দর সুবিশাল এই ভবে,
পেয়েছি আদর, স্নেহ ভালোবাসা না চাওয়া সুখের নদী।
অভাব কী বুঝিনি?
তারপরও বড়োর সম্মান খুঁজিনি।
করেছি কতো ঢঙ, ধরেছি খারাপ সঙ
ঘৃণা করে আজ পরিবার সমাজ
লেগে আছে গায়ে কালিমার রঙ।
সুখের দেখা পেয়ে অমানুষ হয়ে
অবিচার করেছি কতো,
দেখিনি ভেবে জীবনের কী হবে?
অভিশাপের অনলে পুড়ছি অবিরত।
এটাই কী জীবন?
না, না, না এটা কোন জীবন হতে পারেনা।
ভুল করে ফেলেছি
মনের খাতায় যোগ-বিয়োগ করে দেখিনি কভু,
ভাবিনি ঐ পরোজীবনের কথা,
যে জীবনে নিহিত রয়েছে চিরস্থায়ী সুখ, রয়েছে পরম শান্তি।
একবারও কী ভাবি? কী করছি আর কী করতে হবে?
টাকাকড়ি, ধন গরিমার অহংকার করি,
কর্ম ছেড়ে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করি,
কী লাভ? কেন করি এসব?
এটা কিন্তু ঠিক না, একদম ঠিক না
শূন্য হাতে এসেছি, শূন্য হাতেই চলে যাবো।
এসো হে ভাই, এসো এসো
আত্মশুদ্ধির পথ খুঁজি,
কর্মের মাধ্যমে ধর্মকে বুঝি,
আর তাতেই পরোজীবনের শান্তির ঠিকানা পাওয়া সম্ভব হবে।
ঠিকানা:
হাসারচর, শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।