নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফির বিন মর্তুজার নির্দেশে নড়াইল সদর হাসপাতালের ৮জন চিকিৎসক ও ২ জন মেডিক্যাল প্যাথলজিষ্টকে এবং অনিয়মের অভিযোগে খাবার প্রদানের দায়িত্বে থাকা ১জন কর্মচারিকে শোকজ এবং রোগিদের খাবার কম দেওয়ায় আউটসোর্সিং-এর ১কর্মচারিকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা হাসপালে ঝটিকা সফরে এসে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম, রোগীদের ঐষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সময়মত হাজির না হওয়া। চিকিৎসক-কর্মচারিদের ছুটি না নিয়ে অফিসে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের না দেখে রোগীদের ওয়ার্ডে যান এসময় রোগীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন।
চিকিৎসকরা ঠিকমত রোগীদের দেখেন না, গতরাতে হাসপাতালের মাত্র ৩জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মানতে নারাজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আসাদ উজ-জামান মুন্সী। মাশরাফি বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে হেরে যান তত্বাবধায়ক।
তত্বাবধায়ক ডাঃ আসাদ উজ-জামান মুন্সীর অনুমতি না নিয়ে বা কারো দরখাস্তে তত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নেই অথচ তিনি ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি না মঞ্জুর করলেও ছুটি ভোগ করছেন কিভাবে ?
মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, হাসপাতাল গুলোতে বিভিন্নস্থান থেকে গরীব মানুষ আসে দুর-দুরান্ত থেকে। তাদের খাবার দেওয়া হয়না-অফিস করেন না ঠিক মত চিকিৎসকরা। আমার রোগীদের খাবার-ঐষুধ পায়না এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
হাসপাতালের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে বিকেলের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আসাদ-উজ-জামান মুন্সী বিকেলে বলেন, শনিবার সকাল ৯টার পরে আসায় ৮জন চিকিৎসক ও ২জন মেডিক্যাল প্যাথলজিষ্টকে শোকজন করা হয়েছে। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে গত শুক্রবার রাতে ১৭জনের জায়গায় ৩জনকে খাবার দেওয়ায় ডায়েডের দায়িত্বে থাকা ১জন কর্মচারিকে শোকজ করা হয়েছে এবং এর সাথে জড়িত অভিযোগে আউটসোর্সিং-এর ১কর্মচারিকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে