বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু সুনামগঞ্জ ১ আসনের বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসভা করেন,আলহাজ্ব আনিসুল হক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, মাঠেই চলছে শিশুদের ক্লাস লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ, জেল-হাজতে প্রেরণ ১০২ জন এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার ইউকে বাংলা” প্রেস ক্লাবের ‘দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত মোহনগঞ্জে ব্যবসায়ীর গ্যাস সিলিন্ডার চুরি, গ্রেফতার-২ খোকসায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কালীগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে যৌথবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান

লোহাগড়ার ৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখে।

শরিফুজ্জামান নড়াইলঃ
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নড়াইলের লোহাগড়ার মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়ে দুটি একতলা ভবন ও একটি টিনশেড ঘর রয়েছে। পূর্ব দিকে একতলা ভবনের একটি কক্ষ নদীর সঙ্গে মিশে আছে। সেখানে নদীর ঢেউ আছড়ে পড়ছে। বিশাল খেলার মাঠ নদীগর্ভে চলে গেছে অনেক আগেই। ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি যেকোনো মুহূর্তে মধুমতি নদী গর্ভে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।

মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলু মৃধা বলেন, বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হলে এই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তিনি ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

শুধু মাকড়াইল বিদ্যালয়ই নয়, শালনগর ইউনিয়নে অবস্থিত আরও সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মধুমতি নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ গুলো হলো চাকশি, কাশিপুর, শিয়রবর, নওয়াখোলা ও মন্ডলবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শিয়রবর আজিজ-আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নওয়াখোলা আল হেরা দাখিল মাদরাসা।

শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খান তসরুল ইসলাম বলেন, নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। এতে ওই বিদ্যালয় গুলো চলতি বর্ষায় নদীতে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে। চলতি বর্ষায় শালনগর ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের অন্তত ১০০টি বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। হুমকির মুখে আছে ১৫০টি বসতবাড়ি। এই ইউনিয়নের চারটি গ্রামের অস্তিত্ব ইতিমধ্যে বিলীন হয়েছে।

এলাকাবাসি বলেন, এই ইউনিয়নের কাতলাসুর, চরখোড়কদিয়া, চরগোপালপুর ও চাকশি গ্রাম পুরোপুরি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ সব গ্রামের অধিকাংশ মানুষ নদীর অপর পাড় আলফাডাঙ্গায় বসতবাড়ি করে মানবেতর ভাবে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। রামকান্তপুর , শিয়রবর, আজমপুর, নওয়াখোলা, কাশিপুর, মাকড়াইল ও রামচন্দ্রপুর গ্রাম নদীতে বিলীন হচ্ছে।

এসব গ্রামের লোকজনের ভাষ্য, তারা সাহায্য চান না, ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা চান। মাকড়াইল গ্রামের জব্বার মোল্লার (৭২) বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে তিনবার। তিনি এখন মাকড়াইল সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ফসলি সব জমি আগেই নদীতে গেছে। সর্বশেষ আশ্রয় বসতবাড়িটুকুও নদী কেড়ে নিল। এখন তিনি পথের ফকির।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুজ্জামান খাঁন বলেন, ভাঙ্গন কবলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা সম্পর্কে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জয়পুর ইউনিয়নের আস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নতুন ভাবে নির্মান করার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কর্তৃক দরপত্র (টেন্ডার) আহবান করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ওই ইউনিয়নের শিয়রবর বাজার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। সেখানে স্থায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। মাকড়াইল এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হবে। এসব গ্রামে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ জন্য ধাপে ধাপে প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..