কুষ্টিয়া শহরের মোস্তাফিজুর রহমান কর্নেলকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর ঝাউতলা এলাকার ইউসুফ হোসেন ওরফে মুক্তারের ছেলে পারভেজ হোসাইন ওরফে সৌরভ, পূর্ব মজমপুর খন্দকার বাড়ি এলাকার খন্দকার হামিদুজ্জামান মলিনের ছেলে খন্দকার মিহিরুজ্জামান ও কুমারখালী উপজেলার বাড়াদি বানিয়াপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে সাজ্জাদুল বারী সবুজ।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় নাঈমুর সাদিক পার্থ নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতা ও প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে কুষ্টিয়া শহরের কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের মন্ডল ফিলিং স্টেশনের উত্তর পাশে মাঠে মোস্তাফিজুর রহমান কর্নেলকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুর রহমান বাবু বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত মোস্তাফিজুর রহমান কর্নেল পূর্বমজমপুর এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, পূর্বশত্রুতা ও প্রেমঘটিত বিষয়ের জেরে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..