লালমনিরহাট নানান খানাখন্দে ভরে গেছে লালমনিরহাট বুড়িমারী স্থলবন্দরের হাতীবান্ধা উপজেলার জাতীয় মহাসড়কটি। সংস্কারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন না করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে হাতীবান্ধা বন্দরের সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বড়খাতা বাসষ্টান্ড থেকে দোয়ানীর মোড়, হাতীবান্ধা অডিটরিয়ামের সামনে থেকে আমতলা, করেজগেট পার হয়ে ডিএস ফিলিং ষ্টেশনের সামনের সড়ক, বড়খাতা বাসষ্টান্ড থেকে শুরু করে দোয়ানীর মোড়, পারুলিয়া বাজারের দক্ষিন দিকে স্কুলের সামনে ইট দিয়ে হেয়ারিং করা সড়কগুলোর বেহাল দশা। সড়কগুলো ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা। একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা।
হাতীবান্ধার মেডিকেল মোড়ের পশ্চিমে আলিমুদ্দিন কলেজের সড়কটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে সড়কটি ভেঙে গেছে। জমে আছে পানি। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন।
পাথর বোঝাই ট্রাকচালক আইয়ুব আলী বলেন, বন্দরের সড়কটি সোনালী ব্যাংকের সামনে খুবই শোচনীয় অবস্থায় আছে। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বাসচালক শাহিন ইসলাম বলেন, দিনে দুই বার আসা-যাওয়া করতে হয় এখান দিয়ে। খানাখন্দে ভরা স্থানগুলো পার হতে ভয় লাগে।
অটোরিকশাচালক আজিবর রহমান বলেন, যাত্রীদের নিয়ে অনেক আতংকে চলাচল করতে হয়। সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় বৃষ্টি হলে হাটু পানি জমে থাকে। ফলে খুবই সমস্যা হয়। ভ্যানচালক আলিবর হোসেন বলেন, ‘আস্তার যে অবস্থা হচ্চে, কখন যে কি হয়? সেদিন চার জন মেয়ে মানুষ নিয়ে যাবার সময় ভ্যান মোর উল্টে গেলি। মিচ্চেনার (অল্পের) জন্য কেউ মরেনি (মারা যায়নি)।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, হাতীবান্ধা রাস্তাগুলো অবস্থা যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদের অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
রেলায়েবল বিল্ডার্স লিমিটেড এর প্রজেক্ট পরিচালক কালাম মজুমদার বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারনে আমরা একটু অপেক্ষা করছিলাম। আগামী মাসের মাঝামাঝি
সময়ে কাজটি শুরু করবো।
লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, উন্নত মানের সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। রিলায়েবল বিল্ডার্স লিমিটেড কাজটি পেয়েছে। কিন্তু কেন যেন তারা এখনো কাজটি শুরু করতে পারেনি। দ্রুত কাজগুলো শুরু করার জন্য অফিসিয়ালি চিঠি দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি শেষ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।