লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন-প্রতিবেশী মৃত কাল্টু শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম ও মেয়ে বেবী বেগম একই এলাকার শাহিন ইসলাম ও তার স্ত্রী লতা বেগম।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবি এলাকায় পূর্বের জমি-জায়গায় বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী রবিউলের সঙ্গে ভুক্তভোগী আব্দুর রহমানের বিরোধ চলছিলো। এমতাবস্থায় গত ২৭ মে বেলা দশটার দিকে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে যোগ সাজস করে বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে ভুক্তভোগী রহমানের নিজ জমিতে প্রবেশ করে টিনের বেড়া ও বিভিন্ন প্রকার গাছ নষ্ট করেন৷ এ সময় বাদী আব্দুর রহমানের ছেলে দবির হোসেন বাঁধা দিতে গেলে তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে আহত করে অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা আমার পৈতৃক ও কবলা খরিদা জমি অবৈধভাবে দখলে নিতে পায়তারা চালাচ্ছে। গত ২৭ মে তারই জেরে আমার ছেলের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। থানায় অভিযোগ দিলেন ক্ষমতার জোরে এখনও আমাদের হুমকি ধামকি দিয়েই যাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আবাসিক চিকিৎসক ডা : আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাথায় আঘাত গুরতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে প্রেরন করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।