মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কক্সবাজার জেলায় ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারি অফিসার মহসিন ও শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী সোলায়মান লোহাগড়ায় নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের দূর্নীতিবাজ সভাপতি রাশিদুল বাশার ডলারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী নজরুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  মিল্টন ব্লেড-ছুরি দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন, তথ্য জানালো ডিবি মধুখালিতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা বিএনপির দন্তত কমিটির বিচার দাবি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ  লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে,

ছেলের হাতেই বাবা খুন ৪ বছর পর রহস্য উদঘাটন

মোস্তাফিজুর রহমান জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাটঃ
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

লালমনিরহাটঃ ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কালিগঞ্জের অচিনতলা এলাকায় গভীর রাতে নিজ শয়নকক্ষে খুন হন গোলাম হোসেন সেই
ক্লুলেস একটি হত্যা মামলার ৪বছর পর রহস্য উদঘাটন ও খুনিকে গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বৃহস্পতিবার (২ জুন) জেলা সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ ইসমাইল বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কালিগঞ্জের অচিনতলা এলাকায় গভীর রাতে নিজ শয়নকক্ষে খুন হন গোলাম হোসেন। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায়, কাধে, ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার বড় ছেলের দায়ের করা মামলায় তদন্ত কাজ শুরু করলেও কোন রহস্য খুজে পাওয়া যায়না। দীর্ঘ চার বছরে ছয়জন তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্লুলেস মামলাটির রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি। চলতি বছরের মার্চ মাসে ৭ম তদন্ত কারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন সিআইডির উপ-পরিদর্শক জায়েদুল ইসলাম জাহিদ।দায়িত্ব নিয়ে এই মামলার আসামী গোলাম হোসেনের দ্বিতীয় পুত্র জাহাঙ্গীর আলমকে ১০ এপ্রিল আটক করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে। জিজ্ঞাসাবাদে তার পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন ছেলে জাহাঙ্গীর। সেই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তার বাবা ২০০৯ সালের দিকে কবিরাজি চিকিৎসায় তার যৌন ক্ষমতা নস্ট করে দেন। পরের বছর বিয়ে করলে বাসর ঘরে তিনি বুঝতে পারেন তার যৌন ক্ষমতা নাই। সেই থেকে স্ত্রীর সাথে এই বিষয়টি নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। দীর্ঘ আট বছরের সংসার জীবনে অক্ষমতা নিয়ে স্ত্রীর সাথে কলহ, বিরোধ লেগে থাকলে পিতার প্রতি ক্ষোভ তৈরি হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করলে যৌন ক্ষমতা ফিরে পাবেন মনে করে পরিকল্পনা করতে থাকেন। ঘটনার দিন স্ত্রী ঢাকায় গার্মেন্টস এ থাকায় এবং হালকা বৃষ্টি ও বাতাস দেখে রান্না ঘর থেকে দা নিয়ে গিয়ে তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। বাড়ির পাশে গর্ত করে লুকিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করলেও পিতার গোঙানিতে বড় ভাই ও ভাবি আসলে তিনি আর মরদেহ লুকাতে পারেননি। পরক্ষনে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।এ বিষয়ে ছেলে জাহাঙ্গীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..