নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিঙ্কু মজুমদার প্রায় ৯ বছর ধরে অনিয়মিত ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। স্কুলটিতে বর্তমানে ৪ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছে এবং ছাত্র সংখ্যা ১৫০।
রিঙ্কু মজুমদার উপজেলার উত্তর চরঈশ্বর(দাসপাড়া) এলাকার সাবেক সহকারী শিক্ষক বারন্ড দাসের স্ত্রী। সে স্বামী-সন্তান নিয়ে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার দৈনিক ‘সংগ্রাম প্রতিদিন’ সরেজমিনে গেলে স্থানীয় এবং ছাত্র গার্ডিয়ান শয়ন দাস, মল্লিকা দাস,নিশান বাবু সহ অনেকে প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘ সময়ের অন্যায়- অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। রিঙ্কু মজুমদারের এক আত্মীয় সহযোগিতায় সে,এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে তারা তাও তুলে ধরছেন।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার ভবরঞ্জন বাবু বলেন, আমি অনিয়ম করার এতো সুযোগ দেয়নি।
এদিকে চরঈশ্বর রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা রূপ কুমার দাস জানান, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১ মাসের মেডিক্যাল ছুটিতে যান প্রধান শিক্ষক রিঙ্কু মজুমদার। কিন্তু আজ পর্যন্ত পশ্চিম বঙ্গ থেকে দেশে আসেননি। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্লীপের টাকা,উপবৃত্তি, কন্টিডেন্সি প্রভৃতি কাজ আটকে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়েও যে, সে ভারতে থাকেন- এ ব্যাপারে বলা যাবেনা, বললে সমস্যা আছে।
স্কুল সভাপতি রণলাল দাস বলেন, প্রধান শিক্ষক রিঙ্কু মজুমদারের কর্মকান্ড কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধকর।
এহেন অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে এটিইও কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক রিঙ্কু মজুমদার যে অনুপস্থিত সে বিষয়ে আমি রিপোর্ট দিয়েছি। বর্তমানে তার বেতন বন্ধ রয়েছে আর পূর্বের বিষয়ে আমার জানা নাই।
নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম’কে রিঙ্কু মজুমদারের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি জানালে