সাতক্ষীরা সদরের আবাদের
হাটখোলা এলাকা থেকে একটি পিস্তলসহ ফরিদা খাতুন নামের এক নারীকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ ভোর সাড়ে তিনটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফরিদা খাতুন (৪২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদেরহাটের ফজর
আলী মিস্ত্রীর মেয়ে।
স্থানীয় অধিবাসি আফজাল হোসেন জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ফরিদা তার ছেলে
ফারুক হোসেনকে নিয়ে আবাদের হাটখোলায় ভাই মুনসুরের হোটেলে কাজ করে জীবিকা
নির্বাহ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লেিগর কর্মী জানান, ফরিদার
আরেক ভাই বাঘা মোস্তফা ২০১৪ সাল পর্যন্ত জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত
ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি
পোশাক কারখানায় কর্মরত রয়েছেন।
উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ফরিদা
খাতুন জানান যে, তার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তল তার ভাই বাঘা মোস্তফা
বছরখানেক আগে তার খাটের নীচে মাটির মধ্যে পলিথিন মুড়িয়ে রেখে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম কবীর জানান,
বসতঘরের খাটের নীচে মাটিতে অস্ত্র পুতে রাখা আছে, এমন খবরের ভিত্তিতে
সোমবার ভোর তিনটার দিকে উপপরিদর্শক আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ আবাদের
হাটখোলায় ফজর আলী মিস্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ফরিদা খাতুনের
ঘরের খাটের নীচে মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখা একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদাকে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, অস্ত্রসহ ফরিদা খাতুনকে
গ্রেপ্তারের ঘটনায় উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন বাদি হয়ে সোমবার অস্ত্র আইনে
মামলা দায়ের করবেন। ফরিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।