ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগির ব্রিজের নিচে এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটছে প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা। এতে হুমকির মুখে পরেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১জেলায় যাতায়াতের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাগির সেতু ও আশপাশের বিস্তির্ণ ফসলি জমি।
অনেকেই আবার দলীয় পদ পদবি ব্যবহার করে অবৈধ মাটি ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেনের নাম ভাঙিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাগির ব্রিজকে হুমকিতে ফেলে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উজ্জ্বল হোসেন ভেকু দিয়ে রাতদিন মাটি কেটে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক ব্যবহার করে ১০চাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।
অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে মাটি কেটে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।
স্থানীয় হাসেম ও মনির মিয়া (ছদ্ম নাম) জানান, মাটি কাটার সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কিছু বলতে গেলেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ পর্যন্ত দিতে পারেননি ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, নদী খননের মাটি ক্রয় করেছিলাম, নদী খননের কাজ শেষ হলেও আমাদের মাটি নেওয়া শেষ হয়নি। নদী খননের সেই মাটি কাটা হচ্ছে। কোন ফসলি জমির মাটি কাটছিনা।
মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত কি’না এমন প্রশ্নের জবাবে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেন বলেন, ওগুলো নদী খননের মাটি, উপজেলা থেকে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। যতটুকু মাটি দেওয়ার কথা ছিল খননকারীরা ততটুকু মাটি দিতে পারেনি, চুরিচামারি করে বাইরে বিক্রি করেছে। যারা নিলামে মাটি ক্রয় করেছে তারা আমাদের দলীয় লোক। তারা নিলামকৃত মাটি কাটছে, ফসলি জমির মাটি কাটছেনা।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমার জানামতে মাটি ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি। যারা অবৈধমাটি ব্যবসার জড়িত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে