চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মরত শ্রমশাখার আওতায় সাত হাজার শ্রমিক কর্মচারী বার্থ অপারেটর টার্মিনাল অপারেটরের আওতাধীন কাজ করে আসছে তাদের সকল সুবিধা দিয়ে দেওয়ার জন্য ২০১২ সালে নীতিমালা প্রয়োগ করেন বন্দর কতৃর্পক্ষ। যেখানে শ্রমিক কর্মচারীদের কোন কথা ছাড়ায় সকল সুবিধা দেওয়ার কথা উলেখ্য আছে (বন্দর মালিক সিবিএ) র নেতাদের সাথে কথা বলে আরো সমৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন বন্দর নেতারা। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার এবং কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও শ্রম শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে শ্রমিক/কর্মচারীদের বিভিন্ন কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত। দপ্তর আদেশ নং- ১০০/২০১২ সূত্র: চবক বোর্ড নং- ১৪১৫৬ তাং- ১৩/১১/২০১২ ইং সিদ্ধান্ত এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলকের অবগতির জন্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ও শ্রমিক/কর্মচারীদেও প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশের পেক্ষিতে চবক বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত নং- ১৪১৫৬তাং-১৩/১১/১২ইং অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার এবং কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও শ্রম শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে গৃহীত শ্রমিক/কর্মচারীদের বিভিন্ন কল্যাণমূলক ব্যবস্থা নিম্বরূপ। ক) কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ)প্রতিডেন্ট ফান্ডে সদস্য হতে ইচ্ছুক প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী নিজ নামে সোনালী/জনতা ব্যাংক, বন্দর শাখায় পৃথক হিসাব নম্বর খুলবে। উক্ত হিসাব নম্বরে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ (যথা বার্থ/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডলিং
অপারেটরগণ) সংশ্লিষ্ট হিসাব নম্বরে সমপরিমাণ টাকা জমা দেবেন। চবক শ্রম শাখা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক/কর্মচারীর হিসাব নম্বরে টাকা জমা হয়েছে কিনা তা তদারকি করবেন। যদি কোন নিয়োগকারী উ্কত হিসাব নম্বরে তার প্রদত্ত টাকা জমা না দেন তাহলে চবক শ্রম শাখার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চবক এর অর্থ হিসাব বিভাগ সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারীর বিল থেকে উক্ত টাকা কেটে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক/কর্মচারীর হিসাব নম্বরে জমা দেবেন। খ) গ্র্যাচুইটি প্রদান, তালিকাভুক্ত শ্রমিক কর্মচারীদেরকে প্রতি পঞ্জিকা বর্ষের চাকুরী কালের জন্য ২ মাসের সর্বশেষে কাজের মজুরী গ্র্যাচুইটি হিসাবে প্রদান করা হবে। বার্থ অপারেটর নিয়োগ টেন্ডার ডকুমেন্টসে এ ব্যাপারে শর্ত উল্লেখ করতে হবে। প্রচলিত নিয়মে ২৪ ডিউটি মূল বেতনকে ১ মাসের বেতন হিসাবে গণ্য করা হবে। কোন পঞ্জিকা বর্ষে চাকুরীকাল ৬ মাসের অধিক হলে তা ১ বছর বলে গণ্য করা হবে। বেনিফিসিয়ারীদের নিকট থেকে গৃহীত চাঁদা থেকে এই ব্যয় নির্বাহ করা হবে। কমপক্ষে ২ বছর চাকুরী না করলে কোন শ্রমিক/কর্মচারী গ্র্যাচুইটি প্রাপ্ত হবে না।
গ) দুর্ঘটনা বা স্বাভাবিক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে দাফন খরচ প্রদান। দূর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হলে চট্টগ্রাম শ্রম দপ্তর/কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শন পূর্বক রিপোর্ট গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তা সহসা শ্রম শাখা, চবককে প্রেরণ করবে। দূর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হলে ১,০০০০০ (এক লক্ষ) টাকা প্রাপ্য হবে, যা সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবেন। কোন শ্রমিক/কর্মচারীর মৃত্যু হলে স্থানীয়ভাবে দাফনের জন্য ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা এবং গ্রামের বাড়ীতে পরিবহন ও দাফনের জন্য ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা হারে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান
তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করবেন। অবসর গ্রহণকারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে ইহা হবে না।
৩। দূর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে বার্থ অপারেটর কর্তৃক ব্যবহৃত যাবতীয় গিয়ার সমূহ চবক এর সাথে বার্থ অপারেটরদের সম্পাদিত চুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারা মতে টেষ্টিং করতঃসনদ গ্রহণের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে। শ্রমিক/কর্মচারীদের স্ব-স্ব বার্থ অপারেটর/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরগণ কর্তৃক সময়ে সময়ে গিয়ার সমূহ ব্যবহার ও এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। চবক এর শ্রম শাখার মাধ্যমে এ বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।চিকিৎসাকালীন জীবিকাভাতা ও অঙ্গহানিজনিত অক্ষমতার কারণে ক্ষতিপূরণ। স্থায়ী অক্ষমতার কারণে শ্রমিক/কর্মচারী এককালীন ১.২৫ লক্ষ্য টাকা প্রাপ্য হবে। স্থায়ী আংশিক অক্ষমতার জন্য উপার্জন ক্ষমতাজনিত শতাংশ হিসাবে (প্রথমে অফশিল শ্রম আইন২০০৬) প্রাপ্য হবেন। ৩। অস্থায়ী অক্ষমতার কারণে মাসিক অর্থ হিসাবে অক্ষমতার মেয়াদ কালের জন্য অথবা সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত (যাহা কম হবে) ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য হবেন। ৪। উপরোল্যেখিত সকল ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিশোধিত হবে। ঙ) কল্যাণ তহবিলের হতে শ্রমিক/কর্মচারীর মেয়ের বিয়ের খরচ ফান্ড পরিচালনা কমিটি বিশেষ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা বিবাহের খরচের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে যা এখন ২০ হাজার টাকা করে শ্রমিক কর্মচারীরা পাচ্ছে ।শ্রমিক/কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতা জন্য চিকিৎসা খরচ এ বিষয়ে শ্রমিক/কর্মচারীদের জন্য চালুকৃত মেডিক্যাল সেন্টার পরিচালনা নীতিমালা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্তদের এককালীন সাহায্য প্রদান। সৃষ্ট তহবিলের অর্থ সংকুলান ও অনুমোদিত বার্ষিক বরাদ্দের আলোকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্থ কোন শ্রমিক/কর্মচারীকে উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে চাকুরীকালে ১ (এক) বার তহলি থেকে সর্বোচ্চ ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা সাহায্য প্রদান করা যাবে।জ) স্বাভাবিক চিকিৎসা সুবিধাদি। এ বিষয়ে শ্রমিক/কর্মচারীদের জন্য চালুকৃত মেডিক্যাল সেন্টার পরিচালনা নীতিমালা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঝ) বিবিধ শ্রম আইন/২০০৬ (অদ্যাবধি সংশোধিত) এর বিধান মতে প্রাপ্য কোন সুবিধা বাদ পড়লে পরবর্তীতে তা আলোচনা করে স্থির করতঃ চেয়ারম্যান/চবক এর অনুমোদনক্রমে কার্যকর করা হবে। সুষ্ঠু শ্রম ব্যবস্থাপনার স্বার্থে কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন/পরিবর্ধন/সংযোজন/বিয়োজন প্রয়োজন হলে তা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনাক্রমে সুপারিশের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান অনুমোদক্রমে কার্যকরী করা হবে। অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত সম্পাদিত
চুক্তিনামার আলোকে দেয় যাবতীয় সুবিধাদি যথারীতি নিয়োগকারীগণ প্রদান করবেন।অত্র নীতিমালার কোন বিষয়ে মতান্তর সৃষ্টি হলে তা চেয়ারম্যান, চবক এর দৃষ্টিতে নিতে হবে। এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। চলমান গোল্ডেন হ্যান্ডশে প্রদানের মাধ্যমে শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রাপ্য পরিশোধসহ যাবতীয় ব্যয় সমাপ্তির পর অবশিষ্ট অর্থ কল্যাণ ফান্ডে স্থান্তর করা হবে।“চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র” পরিচালনা সংক্রান্ত ব্যয় ফান্ড থেকে নির্বাহ করা হবে। অত্র নীতিমালায় ব্যবহৃত কর্তৃপক্ষ বলতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝবে।এ আদেশ ০১/০১/২০১৩ইং থেকে কার্যকরী হবে হয়েছে শ্রমিক কর্মচারীরা ভোগ করতেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগ রেজি নং ২৭৪৭ (সিবিএ)’ র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ আলমগীসহ নেতৃবৃন্দরা বলেন বন্দরের একটি MOU চুক্তি রয়েছে তা অনেক কিছু শ্রমিক কর্মচারীরা পাচ্ছে না বন্দর চেয়ারম্যান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে বন্দর পরিচালনা করলে বন্দর আরো সমৃদ্ধি হবে হবে না শ্রম অসন্তোষ সৃষ্টি।