ডা.মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও অপসারণ করতে আদালতের দারস্থ:ব্যারিস্টার সুমন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও অপসারণ করতে আদালতের দারস্থ হয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন তিনি।
এসময় তিনি আদালতকে বলেন, শিশুদের ওপর এসব ভিডিও মানসিক চাপ ফেলছে। সেই সাথে রাজনীতিবিদদের নিয়েও ভুল বার্তা যাচ্ছে। এগুলো দ্রুত সরানো দরকার। মুরাদ হাসান নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই।
এর আগে গতকাল সোমবার (৬ডিসেম্বর) রাতে মুরাদকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, শুধু মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করলেই হবে না, এমপি পদে থাকারও ন্যূনতম যোগ্যতা তার নেই।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান টানা কয়েকদিন ধরে নারীদের নিয়ে অশ্লীল কথা বলে যাচ্ছিলেন। উনার ভাইরাল হওয়া ভিডিওর একটি সত্য হলেও কোনো পদেই থাকার অধিকার তার নেই।
সুমন বলেন, খবর পেলাম তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, এ সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। এর মাধ্যমে প্রমাণ হল পাপ বাপকেও ছাড়ে না।
তিনি বলেন, শুধু মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেই হবে না। এ চরিত্র নিয়ে তার এমপি পদে থাকারও ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। দ্রুত তার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ উনার কাছে কোনো মা বোন নিরাপদ নয়।
এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তার অশ্লীল ভিডিওগুলো অপসারণের দাবি জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই জরুরি ভিত্তিতে অশ্লীল ভিডিওগুলো অপসারণের। তা না হলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এ ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথাবার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে।