বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
ধর্মপাশা ও নেত্রকোনায় ৩৮টি শাখা কেন্দ্রে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। চুরির দায়ে এমপি-মন্ত্রীদের হাত কর্তন করলে পুরো বাংলাদেশ চোরমুক্ত হবে”- সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম রায়পুরে ডেভিড হান্ড অপারেশনে গ্রেফতার তিন। মোহনগঞ্জে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার সিইউএফ স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত। নোয়াখালীতে  অপারেশন ডেভিল হান্টে চেয়ারম্যানসহ  আটক ৭ মোহনগঞ্জে ওরশ-যাত্রাপালার নামে মদ-গাঁজার আসর বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ সাবেক ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ কর্মকর্তা আটক গাজীপুরের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)   বরখাস্ত হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দুই বাড়ি ও ১১নৌযানে আ’গুন

নেত্রকোনায় ছাত্রীকে কুপ্র’স্তাবে শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বি’ক্ষোভ

মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোহনগঞ্জ,নেত্রকোণা:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার প্রতিবাদে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৫নং ইউনিয়ন সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাদিছ উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সমাজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও অংশ নেয়।
সম্প্রতি ওই শিক্ষকের একটি অডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শোনা যায় ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন।
কল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ এলাকাবাসীও শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনের অপসারণ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এরই জেরে সামনে আসে ওই শিক্ষকের নানা অনিয়ম।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ উদ্দিন শিক্ষার্থীদেরকে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। অন্যথায় ফেল করানোর হুমকি দেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে চলে গেছে। এছাড়া ছাত্রীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রলোভনে কুপ্রস্তাব দেন।
দ্রুত ওই শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা।
পাশাপাশি শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনকে বিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
এদিকে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। অডিও কল রেকর্ডটিকে তিনি এআই দিয়ে তৈরি এডিট বলে দাবি করে বলেন, এসব ষড়যন্ত্র।
ফাঁস হওয়া অডিও কল রেকর্ডে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা ওই ছাত্রী জানান, কল রেকর্ডটি এডিট নয়, এটি সত্যি। শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনের সঙ্গে পরীক্ষার বিষয় নিয়ে কথা বললে তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। কল রেকর্ডটি কিছুদিন আগের। ওই ঘটনায় আমি স্কুলে গিয়ে সেসময় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..