কাবিননামার সরকারি ফরমে পাঁচ নম্বর কলামে থাকা ‘কুমারী’ শব্দটি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে ‘কুমারী’ শব্দের জায়গায় লিখতে বলা হয়েছে ‘অবিবাহিত’ শব্দ। একইসঙ্গে কাবিননামার ফরমে ৪ এর ক উপধারা সংযোজন করে ছেলেদের ক্ষেত্রে বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত কি না তা অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিস্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জেড আই খান পান্না ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা, সম্পূরক আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। বিয়ের কাবিননামার ফরমে কনে কুমারী, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত সংক্রান্ত পাঁচনম্বর কলামের বৈধতা নিয়ে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন। ‘একটা মেয়ে কুমারী কী কুমারী নয়, এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। কাবিননামা একটি পাবলিক ডকুমেন্ট। এখানে ব্যক্তিগত এ বিষয়টি থাকতে পারে না। আবার এ বিষয়টি একটা মেয়ের বেলায় আছে কিন্তু ছেলের বেলায় সে বিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত কিনা সেটি উল্লেখ নেই। এখানেই বৈষম্য করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে এ রায় দেন।’