কক্সবাজার।টানা বৃষ্টিতে ঈদগাঁওয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত পানিবন্দী কয়েক হাজার মানক্রের ঈদগাঁও উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর রাত থেকে বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঈদগাঁও নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বন্যার পানি অনুপ্রবেশ করে ঈদগাঁও হাইস্কুল, ঈদগাঁও কেজি স্কুল, ঈদগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়ক, এবং অলিগলিগুলো কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাজারের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুদাম এবং দোকান- পাটে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমান মালামাল। বাজারের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন সওদাগর জানান, তার দোকান এবং গুদামে বন্যার পানি ঢুকে অন্ততঃ ১২ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি বলেন, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সওদাগর পাড়ার অবস্থা খুবই খারাপ। এ ছাড়াও ২ নং ওয়ার্ডের হিন্দু পাড়া সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এতে জনগন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব ফরাজি বেড়িবাঁধের মনজুর মৌলভীর দোকান পয়েন্ট উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
একই ইউনিয়নের মাছুয়াপাড়ার বাসিন্দা বাবুল কান্তি দাশ জানান, ওই গ্রামের প্রতি ঘরেই বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং জালালাবাদ দঃ লরাবাক গ্রামের বাসিন্দা তারিকুল হাসান জানান, বেড়িবাঁধ উপচিয়ে বন্যার পানি বসতঘরে প্রবেশ করেছে।
পোকখালীর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানান, বেড়িবাঁধের মধ্যম পোকখালী চেয়ারম্যান বাড়ী পয়েন্ট যেকোন সময় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বালির বস্তা দিয়ে বাধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ রক্ষা করার চেষ্টা চলছে ।
ঈদগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুল আলম বলেন, ঈদগাঁও নদী থেকে অনুপ্রবেশ করা বন্যার পানিতে জাগির পাড়া সড়ক হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ওই ইউনিয়নের ভুতুইয়ার পাড়া।
অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারনে এলাকার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।