আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) সন্ত্রাসী, অর্থ চুরি, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত। এই দুই নেতার নেতৃত্বে আগামী ২০ বছরের মধ্যেও বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের নিজ বাসায় সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনতায় বিশ্বাসী। আমরা জনগণের প্রতি আস্থা রাখি এবং তাদের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট নিয়েই বারবার ক্ষমতায় এসেছে এবং আগামীতে আবারও জনগণের ভোট নিয়েই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের কথার মধ্যে সব সময় সন্ত্রাসী কথাটাই থাকবে। বিএনপি অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্টে বসে সামরিক সরকারের ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই দলের মুখে সারাদিন অবৈধ কথা শোনা যায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ভোট চুরি করে রেকর্ড করেছিলেন। সেই দলের কাছে সব সময় ভোট চুরির কথাই মনে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চাচ্ছে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করতে। তার সুস্থতা তাদের কাছে কাম্য নয়। কারণ তারা আদালতের শরণাপন্ন না হয়ে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে প্রকাশ্যে বোমা মেরে হত্যা করল, টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করল। বিএনপি এ সমস্ত হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করেনি। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেই গ্রেনেড হামলার পর খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিল যে, শেখ হাসিনাকে কে মারতে যাবে? উনি নিজেই তার ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিল। অন্যের মানসিকতা নিয়ে কথা বলার আগে নিজের মানসিকতা নিয়ে কথা বলা দরকার। যারা মিথ্যাচার করে, জাতীয় শোক দিবসে কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন পালন করে তাদের মুখে শিষ্টাচার মানায় না। আয়নায় বিএনপির নিজের চেহারা দেখা দরকার।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে আমরা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছি। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আগামী নির্বাচনের যে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে সেটার মধ্যেই এই লক্ষ্যের প্রতিফলন থাকবে। বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশ। আমাদের সম্পর্ক সকলের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করার মতো কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত ও বানচাল করার জন্য বিএনপি মাঠে নেমেছে। কিন্তু জনগণ তাদের পক্ষে নেই।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউসহ অন্যান্য সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..