স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকারকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেয় একই মুখী একটি কন্টেইনার। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে থাকেন। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় চাপা পড়া কন্টেইনার সরিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচ যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। একটু পরেই হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম এসে পৌঁছে। রেকার এবং ক্রেনের সহায়তায় কন্টেইনার আমরা সরাতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় প্রাইভেট কারের চালক সামান্য আহত হলেও বাকিরা অক্ষত ছিল। পাঁচ যাত্রীর মধ্যে একটি ছোট বাচ্চাও ছিল। সবাইকে অক্ষত অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা এটা অলৌকিক ঘটনার মতো মনে হচ্ছে আমাদের কাছে। সকাল থেকে আমরা এখনো কিছু খাইনি। তবে তাদের জীবিত উদ্ধার করতে পেরে এখন কোন কষ্টকে কষ্ট মনে হচ্ছে না।
বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের এসআই আমির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করি। পরবর্তীতে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির দুটি ক্রেনের সাহায্যে লরিটিকে উপর দিকে সরিয়ে প্রাইভেটকারটি বের করা হয়। যাত্রীরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে ক্রেন পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার কারণে তাদেরকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।