রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নগরবাসীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি সাধন আমাদের প্রধান লক্ষ্য : ডিএমপি কমিশনার শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন নয়, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়াই হলো সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য -সুপ্রদীপ চাকমা শরণখোলায় বিজয় দিবস উপলক্ষে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন।  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি উল্টে চালক নিহত উপদেষ্টা হাসান আরিফ মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে গেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খেলনা পিস্তল নিয়ে ডাকাতি চেষ্টা কেরানীগঞ্জ   রূপালী ব্যাংকে রূপালী ব্যাংকের তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করেছেন, পরিচয় মিলেছে পূর্বাচল লেক থেকে উদ্ধার সেই তরুণী ইয়াবা ও হেরোইনসহ সেনাবাহিনার হাতে মাদক ব্যবসায়ী আটক-২ শরণখোলা উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পৃথক আয়োজনে বিজয় দিবস পালন।

হাসপাতালের পাঁচটি গাছ কাটা হলো দরপত্র ছাড়াই

মোঃ রফিকুল ইসলাম  মোহনগঞ্জ,নেত্রকোণা:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩
নেত্রকোণার আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে থাকা পাঁচটি গাছ দরপত্র ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে। জানাজানি হওয়ার পর দরপত্র আহবান করে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছে কতৃপক্ষ।
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের ভেতরে ষ্টাফ কোয়ার্টারের কয়েকটি ভবনে চার বছর ধরে অস্থায়ীভাবে নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামর কুমার পাল ওই গাছ গুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে কেটেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার গিয়ে জানা যায়,২৩ জুলাই হাসপাতাল চত্বরে থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের চারটি মেহগনি ও একটি রেইনট্টি গাছ দরপত্র ছাড়াই কাটা হয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে ক্যান্টিনের সামনে ও নির্মাণাধীন ক্যান্টিনের পাশে কাটা গাছের খন্ড খন্ড গুঁড়ি  পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু সাঈদ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন,শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে বিধায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সরল বিশ্বাসে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। তবে গাছ কাটার বিষয়ে তিনি আমার সাথে কোনো পরামর্শ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল কুমার পালের ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। কার্যালয়ে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
নেত্রকোণা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমাদেরকে অবগত করা হলে আমরা গাছগুলো দেখে যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে মূল নির্ধারণ করে থাকি। এ বিষয়ে হাসপাতালের কতৃপক্ষ আমাদের অবগত করেননি।
সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা বলেন,হাসপাতালের অভ্যন্তরের গাছ কাটার প্রয়োজন হলে নিয়ম বা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গণপূর্ত বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করবেন। গণপূর্ত বিভাগ বন বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করবেন।এর পর সরজমিনে যাচাই-বাচাই করে গাছের মূল নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়। কাটার অনুমোদন পাওয়ার পর টেন্ডার বা দরপত্রের যথাযথ মাধ্যমে অবলম্বন করতে হবে এবং বিক্রিত অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে থাকা পাঁচটি গাছ কাটার ক্ষেত্রে এসব নীতিমালা তোয়াক্কা করেননি। হাসপাতালের অভ্যন্তরে যা কিছু আছে তার দায়-দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়কের। যদি কেউ নীতিমালা লঙ্ঘন করে থাকে তাহলে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নিবেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..