নীলফামারী জেলায় অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং কোথাও রেল ক্রসিংয়ের কারণে চিলাহাটি-সৈয়দপুরের শেষ সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এতে অকালে প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে রেলক্রসিং এবং লেভেল ক্রসিং অরক্ষিত থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এই রেলপথে ৩০টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ১২টি অরক্ষিত রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। গেটম্যান রয়েছে ২১টিতে। রেলক্রসিং পারাপারে ২০২২ সালের ১লা মে পর্যন্ত অকালে প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন। এরপরেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নিহতরা হলেন, শেফালী আক্তার (৩৮), রুমানা বেগম (৩২), মিনারা (৩৬), সাহেরবান (৩৩), আব্দুল খালেক (১৯), লিয়ন (২৪), আবু-মাসুতালহা (৫০), জাবীর (৯০), আরর্জু (১৭), সাদ বুদু মামুদ (৫৭) ও হাসিম (২৫)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রেলপথের ক্রসিং ও লেভেল ক্রসিং দিয়ে অবাধে যাতায়াত করছে হাজারো পথচারী ও পরিবহন গাড়ি। রেল লাইনের উপর অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছেন অনেক ব্যবসায়ী। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ক্রসিংয়ের দুই পাশে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিয়েছে ”এই গেটে কোনো গেটম্যান নেই”। সতর্কবার্তায় আরো লেখা হয়েছে, ”এই স্থানে রেললাইনের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ”। এরকম সাইনবোড টাঙিয়েই দায় দায় সেরেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় মানুষজন আরো জানান, এ রেলপথে ১২টি অরক্ষিত ও তিনটি অবৈধ ক্রসিং অতিক্রম করার সময় ট্রেনের গতি কমানো হয় না। এমনকি ট্রেনের হুইসেল পর্যন্ত বাজানো হয় না। এতে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।
সৈয়দপুর জিআরপি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল ইসলাম দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, ২০২২ইং সালের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত রেলক্রসিং পারাপার হতে প্রাণ হারিয়েছে ১১জন এব্যাপারে ৮টি ইউডি মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তারা সকলেই নিরীহ পথচারী ও শিশু।