মদন পৌরসভার সড়ক কাটায় জনভোগান্তি,
অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে
নেত্রকোনার মদন পৌরসভার একটি নির্মিত রাস্তা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
মঞ্জুরুল হক মদন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি নেত্রকোনা-৪ (মদন–মোহনগঞ্জ–খালিয়াজুরী) আসনে একাধিকবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও মনোনয়ন পাননি।
পৌরসভা সূত্র জানায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর আগে মদন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ট ভবন একালায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। ওই সড়ক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগণ চলাচল করে আসছেন। হঠাৎ করে রাস্তা কেটে ফেলায় জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের পর মঞ্জুরুল হক ওই এলাকায় তার মায়ের নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে তিনি নির্মিত রাস্তাটি কেটে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। সোমবার নিজের প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা কেটে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন তারা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে রাস্তা কাটার কাজ শুরু হলে স্থানীয় জনগণ ও আশপাশের জমির মালিকরা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তবে সংশ্লিষ্টদের নিষেধ সত্ত্বেও রাস্তা কাটার কাজ চলতে থাকে।
অভিযোগের বিষয়ে মঞ্জুরুল হক বলেন,
“রাস্তাটি আমার ব্যক্তিগত জমির ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তাই আমি রাস্তা কেটেছি। শুধু আমি একা জায়গা দেব না, অন্য জমির মালিকদেরও জায়গা দিতে হবে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।”
মদন পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী জামিল হাসান বলেন,
“কোর্ট ভবন এলাকায় সড়কটি পৌরসভা প্রায় ৫-৬ বছর আগে নির্মাণ করে। রাস্তা কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।”
এ বিষয়ে মদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাওলিন নাহার জানান,
“পৌরসভার নির্মিত রাস্তা কাটার বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট নায়েবকে পাঠিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তা কাটা বন্ধ করা হয়েছে।”