নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বসুপটি এলাকার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একজন ব্যবসায়ির জমি ওই এলাকার ভূমিদস্যু
জামির শেখ ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা দখল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি দখলের বিষয়ে ভুক্তভোগী গত সোমবার (১২ আগষ্ট) নড়াইলের জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বসুপটি এলাকায় ১০৪ নং মৌজার ১৭৩ নং খতিয়ানে
এস এ দাগ নং ১০১৪, আর এস-১৬৮৫ দাগে ৮ শতক জমির মধ্যে
ওয়ারিশ সূত্রে ৬ শতক ও খরিদা সূত্রে ২ শতক মোট ৮ শতক জমি আবুল কালাম আজাদ ভোগ দখল করে আসছিল।
কিন্তু একই এলাকার ভূমিদস্যু, জাল জালিয়াতির হোতা, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জামির শেখ সহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা বিভিন্ন সময়ে আবুল কালাম আজাদের স্বত্ব দখলীও জমি দখল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। কিন্তু ভুক্তভোগী এবং গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে বিবাদীয় জমি দখল করা সম্ভব হয় নাই।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ১৯ আগষ্ট
উক্ত অভিযুক্তরা অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক আবুল কালাম আজাদের
ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমিতে তৈরিকৃত ঘর ভেঙ্গে সেখানে নতুন ঘর তৈরি করে দখল করে উচ্ছেদ করে এবং গত ৯ ডিসেম্বর আবুল কালাম আজাদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমিতে থাকা মূল্যবান মেহগনি ও আম গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়, যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। এছাড়া গত ২৩ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা আবুল কালাম আজাদের ৬ শতক জমির ওপর অবস্থিত দোকানঘর ভেঙ্গে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং সেখানে নতুন দোকানঘর নির্মাণ করে আজাদের বসতবাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অভিযুক্ত জামির শেখ ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা আবুল কালাম আজাদের নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে এবং আমার আত্মীয়-স্বজনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে বলে আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ।
ভুক্তভুগি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি। এছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য পারভিন আক্তার ও তার শশুর শাশুড়িকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এবিষয়েও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বারংবার বিষয়টি জানানোর পরেও তিনি বিষয়টি সমাধান না করে উল্টো তার নিজস্ব সাঙ্গ-পাঙ্গরা দিয়ে ওই জায়গায় অবৈধভাবে বসতঘর ও দোকান ঘর তৈরি করে আমাকে উচ্ছেদ করেছে।
বিষয়টি স্থানীয় লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার রায়ের কাছে শরণাপন্ন হলে তিনি কাশীপুর ইউপি চেয়ারম্যান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে তোমায় ফোন করছেন বলে আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট শরণাপন্ন হলে ওই কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, এ বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..