সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে মিম নামের এক শিশু গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।গত শনিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।
গৃহকর্মী মিম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে রাজাশন এলাকায় তার বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় অভিযুক্তরা।
মিম সাভারের রাজাশন এলাকার ভাড়াটিয়া আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্তরা হলেন- রাজাশন এলাকার গৃহকর্তা কাজী ইসমাইল ও তার স্ত্রী পরশ। পরশ গৃহিণী ও কাজী ইসমাইল পেশায় ডাক্তার বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিশু মিম (১১) সাংবাদিকদের জানান , আমি ওই বাসায় প্রায় ১ বছর ধরে কাজ করছিলাম। ওই বাসায় যাওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন আমাকে আদর করতো কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই আমাকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করে । সর্বশেষ আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে ছোট ছুরি দিয়ে সারা শরীরে খুঁচিয়ে খুচিয়ে যখম করে। এছাড়া ব্যাট দিয়ে পায়ে ও মাথায় আঘাত করে। মেডাম বলে আমি টাকা চুরি করে আমার মায়ের কাছে দিয়েছি। এমন অপবাদ দিয়ে আমাকে প্রতিদিন মারধর করতো তারা।
পরে গতকাল আমাকে আমার বাড়িতে দিয়ে আসে এবং বাবাকে নানা ধরনের ভয় ভিতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। আজ দুপুরে কিছু লোক বাসায় গিয়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।
এব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগীর সারা শরীরে নতুন ও পুরাতন ভোতা এবং ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত সে হাসপাতালে ভর্তি থাকবে।
এব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে গিয়েছি। ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি নির্যাতনের শিকার শিশুটির সারা শরীরে নতুন ও পুরাতন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে অভিযোগ পেয়ে দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..