শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
বর্ষপূর্তি বছর পূর্ণ হলেও জুলাই শহীদরা এখনও সম্মাননা পায়নি কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো সা’দত কলেজ  নেত্রকোণায় বিএনপি নেতার গুদামে সরকারি চাল, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরে রাজি দিয়ে বিএনপি, আকাশসীমা বন্ধ করল মধ্যপ্রাচ্যের ৪ দেশ, ঢাকা থেকে সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা সাবেক সিইসিকে হেনস্তায় জড়িতদের বিচার চান রিজভী লোহাগড়ায় তিলক্ষেত থেকে প’চা-গ’লা অবস্থায় মহিলার লা’শ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য কচাকাটা থানার শিবের হাট গ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু। ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারবে: হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪

১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১০ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্রের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানান আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোটা ব্যবস্থা আগের মতোই বহাল থাকবে বলে ওই পরিপত্রে বলা হয়।
ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাত জন। আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
পরে গত ৯ জুন সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত। গত ৪ জুলাই এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে রিটকারীর পক্ষে সময়ের আবেদনের পর হাইকোর্টের রায়ই আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতেও বলা হয়ে আদেশে। পাশাপাশি মামলার শুনানি মুলতবি রাখার আদেশ দেন আদালত। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..