বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মধুখালীতে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লোহাগড়ায় সংখ্যালঘুদের চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছে একদল ভূমি দস্যু  সন্ত্রাসী  লোহাগড়ায় পুলিশের তান্ডব প্রতিবাদে  এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন  বাগেরহাটের মংলায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৫ কেজি গাঁজাসহ এক নারী মাদক কারবারি আটক নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে হিলফুল ফুজুল যুব সংঘের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রিক বিতরণ খুলনার রূপসায় সালাম জুট মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬ টি ইউনিট , নড়াইলে ধান ক্ষেতে প্রতিক্ষণ বিমান!  রাউজান থানায় সড়ক দূর্ঘটনায় বাঁশখালীর ২ হাফেজ ইমামের মৃ*ত্যু বাগেরহাটে অসহায় হত দরিদ্র মানুষের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিলেন জনতার এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি’র উদ্যোগে ইফতার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

খুলনা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি ও স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০২২

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫মে) দুপুরে মহানগর বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন চাইলে বিচারক মাহমুদা খাতুন তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬ (২), ২৭ (১) ধারায় ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (১) ও ৪ (২) ধারায় সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর মামলা দুটি করেন।

আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, মামলায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার দুর্নীতি ধরা পড়লেও তদন্তে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিকের আরও প্রায় ৫১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। যা মামলার এজাহারে সম্পৃক্ত হবে।

প্রসঙ্গত, মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি সাবেক অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু বকর সিদ্দিক দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৬ টাকার সম্পদ ও তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া তার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৩ লাখ ৮৫৯ টাকার সম্পদ নিজ মালিকানা ও ভোগদখলে রেখে এবং সরকারি চাকরিতে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা স্ত্রীর নামে দান দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেন। এজন্য দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এ ছাড়া একই ধারায় অপর মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে এবং ২নং আসামি করা হয়েছে স্বামী সাবেক অফিসার (ওসি) ইনচার্জ শেখ আবু বকর সিদ্দিককে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে স্ত্রী পারুল দুদকের সম্পদ বিবরণীতে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৯০২ টাকার তথ্য গোপনসহ ১ কোটি ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৯ টাকা আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং স্বামী আবু বকর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা স্ত্রীকে দান হিসেবে গ্রহণ এবং ঠিকাদারি ব্যবসার মাধ্যমে আয় দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টায় মামলা দায়ের হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..