রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরে নৌকার বৈঠা আবারো এমপি নয়নের হাতে নড়াইলে শিক্ষকদের সঙ্গে এমপি মাশরাফির মতবিনিময় সিংড়ায় পিতা কর্তৃক কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে- পিতা গ্রেপ্তার  রাজধানীতে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ৪ জন নিহত বাঁশখালীতে প্রাইমারী শিক্ষকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই বিতরণে, “চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, পাইকগাছার কপিলমুনি বাজার মনিটরিং করেছেন -ইউএনও আল-আমিন সিরাজগঞ্জে আন্তঃশ্রেণী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. হারুন অর রশীদ এর স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা ও সংবাদ সম্নেলনঃ প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর কমিটি গঠন গ্রাম পুলিশের অপকর্মের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন 

কক্সবাজারের জেলা জজকে ক্ষমা, ৯ জনের জামিন বাতিলে রুল

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইনভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একইদিনে জামিন দেওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে আইন লঙ্ঘন করো জামিন দেওয়া ৯ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জেলা জজের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট এস এম আমজাদুল হক, অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ।
এর আগে পর পর দুদিন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইনভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একইদিনে জামিন দেওয়ার ঘটনায় কক্সবাজার জেলা জজকে কঠোরভাবে ভর্ৎসনা করেন হাইকোর্ট।

২০ জুলাই শুনানিতে হাইকোর্ট কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন আপনি একজন সিনিয়র জেলা জজ। দীর্ঘদিন বিচারকাজ করেছেন। আপনি আদালতের আদেশ টেম্পারিং করেছেন। এতে আপনার বুক কাপলো না? টেম্পারিং করে আপনি ভুল করেননি। জেনে শুনে আপনি ক্রাইম করেছেন।

বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

শুনানিতে জেলা জজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, আমরা কনটেস্ট করতে চাই না। আমরা আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি। আমরা খুবই অনুতপ্ত। এ পর্যায়ে হাইকোর্ট জেলা জজকে ডায়াসের সামনে ডেকে আদেশ টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চান। তখন জেলা জজ বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বলেন, ভুলে এটা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, আপনি ভুল করেননি। আপনি জেনে বুঝে ক্রাইম করেছেন।

এ সময় তার আইনজীবীরা আবারও ক্ষমা চাইলে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা ক্ষমা চাচ্ছেন। অনুতপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু জেলা জজের মধ্যে তো কোনো অনুশোচনা নেই। তিনি অনুতপ্তও নন। মন থেকে অনুশোচনা আসতে হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..