ভাদেশ্বর হাফিজিয়অ দাখিল মাদ্রাসায় মোবারক র্যালি ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপিত
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী , নিখিল বিশ্বের মহান নেয়ামত রাহমাতুল্লিল আলামিন, ১২ ই রবিউল আউয়াল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর শুভাগমন উপলক্ষে ভাদেশ্বর হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসায় মাহফিলে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মোবারক র্যালি সম্পন্ন।
৮ অক্টোবর (রবিবার) মহানবী (সঃ)-এর শানে রচিত কালজয়ী নানা কবিতার শ্নোক অঙ্কিত নানা রঙের ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড র্যালিতে শোভাবর্ধন করে। র্যালিটি ভাদেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাদ্রাসায় গিয়ে মিলিত হয়।
র্যালি পরবর্তী অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক, হাফিজ মাওলানা শরীফ উদ্দীন সাহেবের সঞ্চালনায়
উস্তাযুল হুফফাজ হাফিজ মিছবাহ উদ্দীনের সভাপতিত্ত্বে আলহাজ্ব হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুমের শোক সভা ও পবিত্র মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপিত হয়।
উল্লেখ্য যে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স)প্রায় ১৪০০ বছর আগে এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে পরলোক গমন করেন।।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির লালিত বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মহানবী (সাঃ) দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলামের বার্তা প্রচার করে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করে ৬৩ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।।
সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিব বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। বিশ্ববাসীকে সততা, মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে ইসলাম কায়েম করেছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভাদেশ্বর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মুহিদুজ্জামান লাভলু, ভাদেশ্বর হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা গোলাম শাহ আলী , অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাছিত , হাফিজ মাওলানা রজব আলী , হাফিজ মাওলানা সাহাব উদ্দিন, মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র আমেরিকা প্রবাসী হাফিজ মাওলানা আব্দুল আলিম , হাফিজ শামছুল ইসলাম। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং অত্র মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ সহ আরো অনেকেই।
অনুষ্টন শেষে বিশেষ মোনাজাত করেন উস্তাযুল হুফফাজ হাফিজ মিছবাহ উদ্দীন।